শিলিগুড়ি, 22 ডিসেম্বর: শহরে দু'টি পৃথক উচ্ছেদের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শিলিগুড়িতে। শুক্রবার উচ্ছেদ অভিযানে নামে পৌরনিগম ও রেল কর্তৃপক্ষ। আদালতের নির্দেশে অবৈধ নির্মাণ ভাঘার পাশাপাশি নিউ জলপাইগুড়ি রেল স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে থাকা হকার ও ভেন্ডারদের স্টল ভেঙে গুড়িয়ে দেয় রেল এবং আরপিএফ।
এদিন হাইকোর্টের নির্দেশে শিলিগুড়ি পৌরনিগমের 2 নম্বর ওয়ার্ডের প্রধাননগরের নিবেদিতা রোডে অবৈধ নির্মাণ ভাঙে শিলিগুড়ি পৌরনিগম। একদিনে 22টি অবৈধ নির্মান ভেঙে দেয় পৌরনিগম। পৌরনিগম সূত্রে জানা গিয়েছে, মূল রাস্তার ওপর অবৈধভাবে বেশ কিছু নির্মাণ ছিল যা নিয়ে হাইকোর্টে মামলা চলছিল। সেই মামলার নিষ্পত্তি হতেই অবৈধ নির্মাণ ভাঙার নির্দেশ দেয় আদালত। এরপরই প্রধাননগর থানার সহযোগিতায় সকাল থেকেই অবৈধ নির্মানগুলি ভাঙার কাজ শুরু হয়।
অন্যদিকে, আদালতের নির্দেশে নিউ জলপাইগুড়ি রেল স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে থাকা হকার ও ভেন্ডারদের স্টল ভেঙে দেয় রেল এবং আরপিএফ। অভিযোগ, একাধিকবার নোটিশ দেওয়ার পরেও স্টল না সরানোয় আদালতের দ্বারস্থ হয় রেল কর্তৃপক্ষ। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে থাকা প্রায় 10টি স্টল ভেঙে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় সকাল থেকেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন এলাকায়। কাটিহার ডিভিশনের এডিআরএম সঞ্জয় চিলাওয়ার জানিয়েছেন, আগে একাধিকবার নোটিশ দেওয়া হয়েছিল কিন্তু তা সত্ত্বেও ভেন্ডাররা স্টল তুলে না নেওয়ায় এদিন সেগুলি ভেঙে দেওয়া হয়।
অবৈধ নির্মাণগুলির মধ্যে বহু বছরের পুরনো বহুতল, বাড়ি, বেশ কিছু দোকানপাট, রেস্তরাঁ ও ক্যাফেও ছিল। এলাকাবাসীর অভিযোগ, কথা ছিল জানুয়ারি মাসে ভাঙার। কিন্তু এদিন আচমকা দোকানপাট ভেঙে দেওয়ায় ক্ষুদ্ধ সকলেই ৷ অন্যদিকে, নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে নতুন স্টলের জন্য ভেন্ডারদের টেন্ডার ডাকা হয়। পুরোনো স্টল তুলে দিয়ে নতুন স্টল দিচ্ছে রেল। কুড়ি-পঁচিশ বছর ধরে স্টেশনে স্টল দিয়ে ব্যবসা করছিল হকাররা। আর এদিন বিশাল আরপিএফ এবং জিআরপিএফের সহযোগিতায় গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় স্টলগুলি। এর ফলে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখে পড়ল কয়েকশো ভেন্ডারের পরিবার।