জলপাইগুড়ি, 29 নভেম্বর: রেললাইনের পাশে হাতি (Elephant) এলেই জানিয়ে দেবে ইনট্রুশন ডিটেকশন সিস্টেম (IDS) । সংশ্লিষ্ট রেলওয়ে স্টেশনের অ্যালার্ম বাজবে ৷ পাশাপাশি রেলের কন্ট্রোল রুমেও খবর পৌছে যাবে । ফলে একদিকে যেমন ট্রেনের ধাক্কায় হাতির মৃত্যুর (Elephant Death) ঘটনা কমবে, তেমনই ট্রেনও দুর্ঘটনার (Train Accident) হাত থেকে রক্ষা পাবে ।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের (North East Frontier Rail) আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের পক্ষ থেকে ট্রেনের ধাক্কায় হাতির মৃত্যু রুখতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে । এতে খুশি বনবিভাগ ও বন্যপ্রাণী প্রেমী সংস্থাগুলিও । আলিপুরদুয়ার থেকে শিলিগুড়িগামী রেলের ডুয়ার্স রুটে গরুমারা জাতীয় উদ্যান, চাপড়ামারি অভয়ারণ্য ও মহানন্দা অভয়ারণ্য রয়েছে । জঙ্গলের বুক চিরেই ট্রেন যাতায়াত করে । 2004 সালে ব্রড গেজ লাইন হওয়ার ফলে এই রুটে ট্রেনের ধাক্কায় হাতির মৃত্যু বেড়েছিল ।
যদিও করোনাকালে ট্রেনের ধাক্কায় হাতির মৃত্যু অনেকটাই কম । যদিও এর পুরো কৃতিত্ব রেল দফতরকেই দিতে হয় ৷ কারণ, রেললাইনে হাতি এলেই ট্রেন থামিয়ে হাতি তাড়িয়ে তারপর ট্রেন চালানোর ফলে হাতির মৃত্যু কমেছে । এবার রেললাইনের পাশে অপটিক ফাইবার লাগিয়ে থার্মাল ডিভাইসের (Thermal Device) মাধ্যমে হাতির গতিবিধি সম্পর্কে জানতে পারবে রেল ৷ ফলে হাতির মৃত্যু রোখা যাবে বলে দাবি রেলের ।
ডুয়ার্সের জঙ্গল ঘেরা রেললাইনের পাশে লাগানো হচ্ছে এই ইনট্রুশন ডিটেকশন সিস্টেম ৷ এটি একটি থার্মাল ডিভাইস । রেললাইনের পাশে হাতি এলে হাতির শরীর তাপমাত্রা সেন্স করবে এই ডিভাইস । সেন্স করে অপটিক ফাইবারের মাধ্যমে সেই বার্তা চলে যাবে সংশ্লিষ্ট রেলওয়ে স্টেশনে । এই ডিভাইসটি রেলওয়ে লাইনের দুই পাশে 30 ফুটের মধ্যে হাতি এলেই সূচনা দেবে । হাতির অবস্থানের দুইদিকের স্টেশনের হাতির উপস্থিতির অ্যালার্ম বেজে উঠবে । পাশাপাশি রেলের ডিভিশনের কন্ট্রোল রুমেও অ্যালার্ম বাজবে ।
এর পর ট্রেন চালককে ওয়াকিটকির মাধ্যমে যেমন হাতির রেললাইনের পাশে থাকার বিষয়টি অবগত করা হবে । অন্যদিকে ট্রেনের গতি নিয়ন্ত্রণ আগে থেকেই করা সম্ভব হবে । প্রাথমিক পর্যায়ে জলপাইগুড়ি জেলার বিন্নাগুড়ি রেলওয়ে স্টেশনকে মাঝখানে রেখে রেড ব্যাংক চা বাগানের মাঝে এই ডিভাইসটি রেখে পরীক্ষা করা হয়েছে । গরুমারা জাতীয় উদ্যানের কুনকি হাতি নিয়ে গিয়ে পরীক্ষা করা হয় ।