জলপাইগুড়ি, 1 জুন : এপারে ভারতের হলদিবাড়ি, ওপারে বাংলাদেশর চিলাহাটি ৷ এই দু’য়ের মাঝে কাঁটাতারের বেড়া ৷ যা দু’দেশকে ভাগ করেছে ৷ আর এই কাঁটাতারের দূরত্বকে দিল মিতালি ছুটল ৷ 1965 সালের পর ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে উত্তরবঙ্গ থেকে ফের চালু হল যাত্রীবাহী ট্রেন (Haldibari Chilahati Mitali Express Starts Again After 1965) ৷ এ দিন দুপুরে হলদিবাড়ি সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢুকল মিতালি এক্সপ্রেস (Mitali Express) ৷
একটা সময় জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ হয়ে যাত্রীবাহী ট্রেন গিয়ে পৌঁছত কলকাতায় ৷ 1965 সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনার কারণে বন্ধ হয়ে যায় এই রেলপথ ৷ এ বার ছিটমহল বিনিময় চুক্তির পর ফের এই রেলপথ চালু করতে উদ্যোগী হয় দুই দেশের সরকার ৷ হলদিবাড়ি রেল স্টেশনকে আন্তর্জাতিক মানের গড়ে তোলার পাশাপাশি সীমান্ত পর্যন্ত 3.34 কিমি লাইন পাতে ভারতীয় রেলমন্ত্রক ৷ একই ভাবে সীমান্তের ওপারে চিলাহাটি স্টেশনকে সাজিয়ে তোলার পাশাপাশি চিলাহাটি থেকে ভারতের হলদিবাড়ি সীমান্ত পর্যন্ত 6.724 কিলোমিটার নতুন রেলপথ তৈরি করে বাংলাদেশ সরকার ৷
ভারত ও বাংলাদেশের হলদিবাড়ি-চিলাহটি রেলপথ দিয়েই বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস দার্জিলিং মেলে কলকাতা থেকে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে উত্তরবঙ্গে যাতায়াত করতেন ৷ এই রেলপথ দিয়েই জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি পৌঁছতেন তাঁরা ৷ 1939 সালে নেতাজি অবিভক্ত বাংলার কংগ্রেস কমিটির সভাপতি হিসাবে এই রেলপথেই জলপাইগুড়ি এসেছিলেন ৷ সেই ঐতিহাসিক রেলপথ আবারও চালু হল ৷
মুক্তিযুদ্ধের সময় শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি হয়ে বাংলাদেশ ও কলকাতা মধ্যে চলা এই ট্রেন পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায় ৷ 2020 সালে ছিটমহল বিনিময় চুক্তি স্বাক্ষর করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুনরায় হলদিবাড়ি-চিলাহাটি রেলপথ চালু করার সিদ্ধান্ত নেন ৷ 2020 সালের 17 ডিসেম্বর দু’দেশের প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি হলদিবাড়ি-চিলাহাটি রুটে রেলপথের শিলান্যাস করেছিলেন ৷