জলপাইগুড়ি, 29 জুন: পাত্রের বয়স 72 বছর, পাত্রীর 42 । শেষ বয়সে একাকিত্ব দূর করতে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বৃদ্ধ । কিন্তু বিয়ের একদিন আগেই ভর্তি হতে হল হাসপাতালে । তবে তাতে বিয়ে থামেনি ৷ হাসপাতালের সিসিইউ-তেই হল সিঁদুরদান । এখন স্বামীকে বাঁচাতে হাসপাতালে রাত কাটাচ্ছেন নববধূ । শুধু তাই নয়, স্বামীর কিডনি রোগ ধরা পরায় তাঁকে বাঁচাতে নিজের কিডনি দান করতেও প্রস্তুত তিনি ।
পাত্র-পাত্রীর পরিচয়: পাত্র জলপাইগুড়ি পৌরসভা এলাকার 13 নম্বর ওয়ার্ডের দেশবন্ধু নগরের বাসিন্দা নিরোদকুমার দে ৷ আর পাত্রী আলিপুরদুয়ারের জটেশ্বরের বাসিন্দা পায়েল ভট্টাচার্য । পাত্রের স্ত্রী গত হয়েছেন ৷ প্রয়াত পাত্রীর স্বামীও । তাই জীবনসায়াহ্নে একে অপরের একাকিত্ব কাটাতে বিয়ের পিঁড়িতে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন দুজনে ৷ কিন্তু বিয়ের আগের দিনই তাল কাটল ৷
পাত্র-পাত্রীর অতীত: পাত্র নিরোদকুমার দে একটা সময় কেন্দ্রীয় সরকারের উচ্চ পদে কর্মরত ছিলেন । বছর খানেক আগে তাঁর স্ত্রীর মৃত্যু হয় । কোনও সন্তান না থাকার কারণে একা হয়ে পড়েছিলেন এই বৃদ্ধ । আত্মীয় স্বজন থাকলেও তাঁকে দেখভালের জন্য একজনের প্রয়োজন ছিল । অন্যদিকে, জলপাইগুড়ির পাতকাটা কলোনির বাসিন্দা পায়েল ভট্টাচার্যের বিয়ে হয়েছিল আলিপুরদুয়ারের জটেশ্বরে । বিয়ের তিন বছর পরেই মৃত্যু হয় তাঁর স্বামীর । তার একটি কন্যাও রয়েছে । মেয়েকে নিয়ে বেশ কষ্টে দিন কাটছিল । তাই খোঁজখবর নিয়ে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি ।