জলপাইগুড়ি, 11 সেপ্টেম্বর : উত্তরবঙ্গে রয়েছে গোরুমারা থেকে শুরু করে চাপড়ামারি , নেওড়াভ্যালি , জলদাপাড়া মতো একাধিক জাতীয় উদ্যান ও অভয়ারণ্য ৷ রয়েছে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পও । তাই লোকালয়ে মাঝেমধ্যেই দেখা যায় বিষধর সাপ । কিন্তু সেই সাপ ধরার জন্য বনবিভাগে খবর গেলেই হইচই পড়ে যায় । কারণ, কিং কোবরার মতো বিষধর সাপ ধরার জন্য যে প্রশিক্ষণের প্রয়োজন তাই তো নেই বেশিরভাগ বনকর্মীর । অগত্যা নির্ভর করতে হয় পরিবেশ প্রেমী সংগঠনের সদস্যদের উপর । শুধু স্থানীয়দের অভিযোগ নয়, বিষধর সাপ ধরার ক্ষেত্রে বনকর্মীদের প্রশিক্ষণের অভাবের কথা জানিয়েছেন খোদ রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল রবিকান্ত সিনহা ।
বিষধর সাপ ধরার প্রশিক্ষণ নেই বনকর্মীদের, ভরসা পরিবেশ প্রেমী সংগঠন - Forest worker
উত্তরবঙ্গে রয়েছে চাপড়ামারি থেকে শুরু করে জলদাপাড়ার মতো জাতীয় উদ্যান । অথচ সেখানেই লোকালয়ে সাপ ঢুকে গেলে মাথায় হাত পড়ে যায় বনকর্মীদের । কারণ সাপ ধরার মতো প্রশিক্ষণই নেই বেশিরভাগ বনকর্মীদের । খোদ রাজ্যের বনপাল স্বীকার করেছেন এই কথা ।
সম্প্রতি ময়নাগুড়ির রামশাইয়ের ডিমামোড় এলাকায় কিং কোবরা দেখা যায় । সেই খবর চাউর হতেই হইচই পড়ে যায় এলাকায় । এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই বনকর্মীদের প্রশিক্ষণের বিষয়টি সামনে আসে । কারণ ওই সাপকে উদ্ধার করতে খবর বনবিভাগে খবর দেয় স্থানীয়রা । কিন্তু, বনবিভাগের কর্মীরা কিং কোবরাটিকে দেখে আর সাহস পাননি । দাঁড়িয়ে থাকেন নীরব দর্শক হয়ে । এরপরই খবর যায় ময়নাগুড়ির পরিবেশ প্রেমী সংগঠনের সদস্য নন্দু রায়ের কাছে । সাপটিকে বস্তাবন্দী করেন তিনি ৷ তাঁকে সাহায্য করেন বনকর্মীরা ৷ নন্দু রায়ের পাশাপাশি বিশ্বজিৎ দাস, শ্যামাপ্রসাদ পান্ডে ও সৈয়দ নইমদের মতো পরিবেশপ্রেমী সংগঠনের সদস্যরাও বিষধর সাপ ধরে থাকেন ।
পরিবেশ প্রেমী সংগঠনের সদস্য নন্দু রায় বলেন, "বনবিভাগের উচিত বনকর্মীদের সাপ ধরার প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা ও সেই কাজে উৎসাহিত করা । কারণ দীর্ঘদিন বনকর্মীদের এই প্রশিক্ষণ দেওয়ার কোনও ব্যবস্থা নেই । তাই কারও ইচ্ছে থাকলেও প্রশিক্ষণের অভাবে এই কাজে এগিয়ে আসতে পারে না । আমাদের সঙ্গে যারা কাজ করে তাদের সরকারি কোনও প্রশিক্ষণ নেই । তাই বনবিভাগের তরফে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হলে অনেকেই এই কাজে এগিয়ে আসবে ।"
রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল (বন্যপ্রাণী ) রবিকান্ত সিনহা এই বনকর্মীদের প্রশিক্ষণের অভাবের কথা স্বীকার করেন । তিনি বলেন, "এটা ঠিক যে সাপ ধরার জন্য প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত বনকর্মীর সংখ্যা কম । কারণ বনকর্মীরাও আমাদের মতোই । সবাই সাহসী হয় না । তাই সাপ ধরতে আমরা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাহায্য নিয়ে থাকি ।"