জলপাইগুড়ি, 11 অগস্ট: ট্রেনের ধাক্কায় গর্ভবতী হাতির মৃত্যুর ঘটনায় রেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করল গরুমারা বন্যপ্রাণী বিভাগ । সেই সময়ে ট্রেনের গতিবেগ কত ছিল তা জানার জন্য দুর্ঘটনাস্থলে স্পিড লক চাইল বন্যপ্রাণী বিভাগ । ট্রেনের ধাক্কায় গর্ভবতী হাতির পেটে থেকে বেরিয়ে আসে নবজাতক। আর 6-7 দিনের মধ্যেই গর্ভবতী হাতিটি প্রসব করত বলে জানা গিয়েছে ৷
বন্যপ্রাণী বিভাগের দাবি ট্রেনের গতি বেশি থাকার কারণেই ঘটনাটি ঘটেছে ৷ সেই দাবি মানতে নারাজ রেল ৷ রেলের দাবি মালগাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণেই ছিল ।তাই কোন দোষারোপ বা পালটা দোষারোপে না গিয়ে, কী করে হাতির মৃত্যু রোখা যায় সেই দিকেই তাকিয়ে বন্যপ্রাণী বিভাগ । গতকাল চাপড়ামারি অভয়ারণ্যে জঙ্গলে মাঝে ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে একটি অন্তঃসত্ত্বা হাতির । মালবাহী ট্রেনের ধাক্কায় মৃত হাতিটির 8টি হাড় ভেঙে গিয়েছে, বলে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে ৷
জলপাইগুড়ির গরুমারা বন্যপ্রাণী বিভাগের ডিএফও দ্বীজপ্রতীম সেন বলেন, "ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ট্রেনের ধাক্কায় মৃত হাতিটির 8টি হাড় ভেঙে গিয়েছে । ট্রেনটি দ্রুত গতিতে না থাকলে কোনও ভাবেই হাতির মত বিরাট চেহারার প্রাণীর এতগুলো হাড় ভাঙত না । তাই আমরা রেলের কাছে স্পিড লক চেয়েছি । ওই এলাকায় কত স্পিডে মালগাড়িটি চলেছিল তাও জানতে চেয়েছি । আমরা ইতিমধ্যেই মালবাজার জিআরপি-তে একটা জেনারেল ডাইরি করেছি রেলের বিরুদ্ধে । যদি প্রমানিত হয় স্পিড বেশি ছিল সেই মতো জিআরপি-কে উচ্চপর্যায়ের তদন্তে কথা বলা হবে ।"