জলপাইগুড়ি, 19 মেঃ কোরোনা মোকাবিলায় দেশ জুড়ে চলছে লকডাউন৷ যার ফলে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন বহু মানুষ৷ অপরদিকে, লকডাউনের জেরে বিপাকে পড়েছেন হাজার হাজার কৃষক৷ মাঠের ফসল নষ্ট হচ্ছে মাঠেই৷ লকডাউনের জেরে সবজি বিক্রি তো দূরের কথা, ফসলের খরচের টাকাই এখনও পর্যন্ত ওঠেনি৷ ঋণ শোধ করবেন কী ভাবে? এই চিন্তায় এখন দিন কাটাচ্ছেন হাজার হাজার কৃষক৷
জলপাইগুড়ির বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের অবস্থাও একই রকম৷ দিনের পর দিন জমিতে পড়ে রয়েছে শশা৷ জমি থেকে শশা তুলতে না পারায় বর্তমানে তা, তরমুজের আকার ধারণ করেছে৷ মাথায় হাত শশা চাষিদের৷ উল্লেখ্য, সারা বছর তাঁরা এই সময়ের জন্যই অপেক্ষা করে থাকেন৷ তবে, এবারের চিত্রটা একেবারে বিপরীত ৷ শশা বিক্রি তো দূরের কথা, খরচের টাকাও এখনও পর্যন্ত ওঠেনি৷
জলপাইগুড়ি কৃষি দপ্তর সূত্রের খবর, এই সময় জেলায় শশার উৎপাদন সবচেয়ে বেশি হয়৷ বর্ষাকাল থেকেও এই সময় শশার উৎপাদন 1200 মেট্রিক টন বেশি হয়৷ বর্ষাকালে জেলায় 317 হেক্টর জমিতে 2300 মেট্রিক টন শশার ফলন হয়৷ যার জন্য খরচ হয় প্রায় 8 থেকে 10 হাজার টাকা৷ যদি শ্রমিক নিয়ে চাষ করা হয় তাহলে খরচের পরিমাণ প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যায়৷ শুধু তাই নয়, শীতকালেও জেলায় শশার উৎপাদন বেশ ভালোই হয়৷ জেলায় 250 হেক্টর জমিতে শীতকালীন শশা উৎপাদন হয় 3700 মেট্রিক টন৷
প্রতিবছর, এক এক বিঘা শশা চাষ করলে প্রায় 55 থেকে 70 হাজার টাকা লাভ করেন কৃষকেরা৷ তবে, এবছরের চিত্রটা একেবারেই উল্টো৷ বছরে সেই উৎপাদনের পরিমান ছাপিয়ে গেলেও শশার দাম না মেলায় বিপাকে কৃষকেরা৷