জলপাইগুড়ি, 8 অগস্ট: জল্পেশে পুণ্যার্থীদের ডিজে ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞার ফলে অনেকটাই শৃঙ্খলা এল (Discipline Came to Stop the Use of DJ by Devotees)। পুণ্যার্থীদের সংখ্যা কম হলেও কিছুটা স্বস্তি পুলিশ মহলে । একদিকে জল্পেশে পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে কলকাতা হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চের নির্দেশ অন্যদিকে পুলিশের কড়া নজরদারি । ফলে পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তা আঁটোসাটো ও সুনিশ্চিত হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে । যদিও যেখানে লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থীদের ভিড় হত সেখানে তিস্তা ঘাট ও জল্পেশে প্রায় ফাঁকা বললেই চলে ।
গত সপ্তাহে জল্পেশ মন্দিরে আসার পথে ডিজের জেনারেটরে শর্ট সার্কিটের ফলে দশজনের মৃত্যু হয় । এরপর জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পুণ্যার্থীদের ডিজে ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ । এদিন জেলার সব থানা এলাকাতেই নাকা চেকিং বসানো হয়েছিল যাতে কেউ ডিজে নিয়ে যেতে না পারে বা উশৃংখল ভাবে না যায় । পুলিশ কিন্তু সফল । এদিন অন্যান্য বছরের মত অনেকটাই নিয়ন্ত্রনে ছিল সব কিছুই ।
আরও পড়ুন:জল্পেশ মন্দিরে পুণ্যার্থী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের
উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী জল্পেশ মন্দিরের প্রতিবছর শ্রাবণ মাসে লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থীরা আসেন পুজো দিতে ৷ জল্পেশ মন্দিরের ভেতরে ঢোকার প্রবেশ পথ অত্যন্ত চাপা ও ছোট । গত সোমবার এই পথ দিয়ে মন্দিরের পুজো করতে যাওয়ার সময় চোট লেগে অসুস্থ হন রাজকুমার দাস নামে এক পুণ্যার্থী ৷ এরপরেই তিনি কলকাতা হাইকোর্ট জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে একটি মামলা করেন । সেই মামলার শুনানি শেষে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় রায় দেন মন্দিরের গর্ভগৃহে আর কোনও পুণ্যার্থীকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না । পুণ্যার্থীদের কথা চিন্তা করেই । এর পরিবর্তে মন্দিরের বাইরে থেকে পুণ্যার্থীদের জল ঢালার ব্যবস্থা করতে হবে মন্দির কমিটিকে । পাশাপাশি রবিবার ও সোমবার কোনও প্রকার টিকিট বিক্রি করতে পারবে না মন্দির কমিটি । এই নির্দেশের পরেই মোট তিনটি জায়গায় পাইপ লাগানো হয়েছে জল ঢালার জন্য ।