জলপাইগুড়ি, 4 অক্টোবর:সিকিম বিপর্যস্ত হওয়ার পরেই অবশেষে ঘুম ভাঙল সেচ দফতরের । বুধবার উদ্যোগ নেওয়া হল ক্ষতিগ্রস্ত তিস্তা নদী বাঁধ সংস্কারের । তাও আবার আপৎকালীন পরিস্থিতিতে । স্থানীয়দের অভিযোগ, সারা বছর সেচ দফতরের পক্ষ থেকে কোনওরকম হেলদোল থাকে না ৷ বার বার অভিযোগ করলেও সেচ দফতর কর্নপাত করে না ।
তিস্তা নদী সংলগ্ন স্থানীয় বাসিন্দা অমিত মণ্ডল বলেন, "গতকাল রাত থেকেই তিস্তা নদীর জলস্তর বাড়তে শুরু করেছে । সিকিমে যেভাবে বিপর্যয় হয়েছে তাতে বিকেলের দিকে পরিস্থিতি কী হয় সেই নিয়েই চিন্তায় রয়েছি । তবে এই বাঁধ আজ থেকে খারাপ নয় । দীর্ঘদিন থেকে বাঁধ কেটে বড় বড় গাড়ি করে তিস্তা নদীতে বালি তোলার কাজ করা হয়েছে । পৌরসভার জলের প্রকল্পের কাজ করা হয়েছে । কিন্তু বাঁধ ঠিক করা হয়নি । আজ বেগতিক দেখে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে তাপ্পি মেরে বাঁধ সংস্কার করা হচ্ছে ।" 2021 সালেও লক্ষ্মীপুজোর দিন তিস্তার নদীর জল বেড়ে যাওয়ায় বাঁধ সংস্কার করতে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারকে ছুটে যেতে হয়েছিল । যদিও এই বিষয়ে সেচ দফতরের আধিকারিকরা মুখে কুলুপ এটেছেন।
আজ সিকিমে চুংথাং বাঁধ ভেঙে গেলে ভয়ঙ্কর রূপ নেয় তিস্তা ৷ ফুলে ফেঁপে ওঠে নদী ৷ বন্যা পরিস্থিতির তৈরি হয় ৷ এরপরেই তড়িঘড়ি বাঁধ সাড়াইয়ের কাজে নামল সেচ দফতর । তিস্তা বাঁধ দিয়ে জল ঢুকতে শুরু করেছে ৷ এর ফলে জলপাইগুড়ি শহরে জল ঢোকার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে । 1968 সালের 4 অক্টোবর আজকের দিনেই জলপাইগুড়িতে ভয়াবহ বন্যা হয়েছিল । সেই বছরের বন্যার স্মৃতি উস্কে দিল আজকের পরিস্থিতি । কাকতালীয়ভাবে দিনটিও এক । বুধবার উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে যোগাযোগকারী গুরুত্বপূর্ণ 31 নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর তিস্তা সেতুতে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে ।