পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

জলপাইগুড়িতে বিশ্ববাংলা ক্রীড়াঙ্গনে কোরোনা হাসপাতাল : গৌতম দেব - বিশ্ববাংলা ক্রীড়াঙ্গনেই হবে কোরোনা হাসপাতাল। জানালেন মন্ত্রী গৌতম দেব।

বিশ্ব বাংলা ক্রীড়াঙ্গনেই তৈরি হবে কোরোনা হাসপাতাল ৷ জানিয়ে দিলেন পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব ৷ বিশ্ববাংলা ক্রীড়াঙ্গনে কোরোনা হাসপাতাল গড়ার কাজ শুরু করেও পিছিয়ে গিয়েছিল জেলা প্রশাসন । এরপর রাজবাড়ি পাড়ার এক নার্সিংহোমকেই কোরোনা ভাইরাসের সংক্রমণের চিকিৎসাকেন্দ্র হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছিল । এবার ফের ওই স্টেডিয়ামেই ফিরতে হল জেলাপ্রশাসনকে ।

corona hospital will be made at biswa bangla sports ground at jalpaiguri
জলপাইগুড়িতে বিশ্ববাংলা ক্রীড়াঙ্গনেই হবে কোরোনা হাসপাতাল, জানালেন মন্ত্রী গৌতম দেব

By

Published : Apr 7, 2020, 7:11 PM IST

জলপাইগুড়ি , 7 এপ্রিল : বিশ্ব বাংলা ক্রীড়াঙ্গনেই তৈরি হবে কোরোনা হাসপাতাল ৷ জানিয়ে দিলেন পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব ৷ হাসপাতাল গড়ার কাজ করতে হবে জেলা প্রশাসনকে । আজ জলপাইগুড়িতে বৈঠকের পর পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, বিশ্ব বাংলা ক্রীড়াঙ্গনেই হবে কোরোনা রোগীদের চিকিৎসাকেন্দ্র । এর জন্য রাজ্য সরকার সব ধরনের সাহায্য করবে । বিশ্ববাংলা ক্রীড়াঙ্গনে কোরোনা হাসপাতাল গড়ার কাজ শুরু করেও পিছিয়ে গিয়েছিল জেলা প্রশাসন । এরপর রাজবাড়ি পাড়ার এক নার্সিংহোমকেই কোরোনা ভাইরাসের সংক্রমণের চিকিৎসাকেন্দ্র হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছিল । এবার ফের ওই স্টেডিয়ামেই ফিরতে হল জেলাপ্রশাসনকে ।

কোরোনা ভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় জলপাইগুড়ি জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর ও জেলা প্রশাসন কেমন কাজ করছেন তা খতিয়ে দেখতে জলপাইগুড়িতে আসেন পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব । আজ সার্কিট হাউজ়ে হওয়া বৈঠকে জেলাশাসক অভিষেক কুমার তিওয়ারি, জেলা পুলিশ সুপার অভিষেক মোদী, জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা বর্মন , জলপাইগুড়ি পৌরসভার চেয়ারম্যান - ইন - কাউন্সিল সৈকত চট্টোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন ।

গৌতম দেব বলেন, " এখনও পর্যন্ত জলপাইগুড়ি জেলা কোরোনা মোকাবিলায় ভালো কাজ করছে । এখন পর্যন্ত কোরোনা সন্দেহে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে 7 জন ও লায়ন্স হাসপাতালে 9 জন ভরতি আছেন । তাদের সোয়াব উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পরীক্ষা করা হবে । জলপাইগুড়ি বিশ্ব বাংলা ক্রীড়াঙ্গনে কোরোনা হাসপাতাল করা হবে । বিশ্ববাংলা ক্রীড়াঙ্গনে 100 বেডের আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরি করা হচ্ছে ৷ রাজ্য সরকার সব রকম সহযোগিতা করবে । 19টি কোয়ারান্টাইন সেন্টার তৈরী করা হয়েছে জেলায় । দুস্থদের 35 কেজি করে চাল দেওয়া হচ্ছে । চা বাগানের মানুষদের জন্যও খাদ্যসামগ্রী বণ্টন করা হচ্ছে রেশনের মাধ্যমে ।

আগামী সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত এই রেশন দেওয়া হবে বিনামুল্যে । এছাড়া অসংগঠিত শ্রমিকদের 1000 টাকা করে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে ৷ জলপাইগুড়িতে যাতে একটিও কোরোনা পজ়িটিভ না বের হয় তার জন্য কাঁধে কাঁধ দিয়ে আমরা কাজ করব । জেলা প্রশাসন, ব্লক স্তর থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধিরা সবাই একসাথে কাজ করছি । যাতে কেউ অভুক্ত না থাকে । যাদের রেশন কার্ড নেই বা খাবার পাচ্ছে না । তাদের কথা চিন্তা করে খাদ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলা হবে । "

For All Latest Updates

TAGGED:

ABOUT THE AUTHOR

...view details