জলপাইগুড়ি, 14 জুন : "আমি তোমাদের চাকরি দিয়েছি, আমিই সব । আমার জন্যই এখানে চাকরি পেয়েছো। যদি এখানে চাকরি না পেতে তাহলে, তো বারে গিয়ে ডান্স করতে হত ।" এই ভাষাতে অধ্যাপিকাকে অপমান করার অভিযোগ উঠল জলপাইগুড়ি আনন্দ চন্দ্র কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ সিদ্ধার্থ সরকারের বিরুদ্ধে (co teachers protested against principals comment)। তবে অধ্যক্ষ তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ৷
আনন্দ চন্দ কমার্স কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে কলেজের স্থায়ী ও অস্থায়ী অধ্যাপকরা আন্দোলনে নামেন। অভিযোগ, কলেজের অধ্যাপিকাদের মানসিক অত্যাচার করছেন সিদ্ধার্থ সরকার । মঙ্গলবার এ নিয়ে কলেজ চত্বরে বিক্ষোভ দেখিয়ে অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবি করেন তাঁরা ।
আরও পড়ুন :কম নম্বর পেয়েই বিজ্ঞান পড়ার আবেদন স্কুলে স্কুলে, কাউন্সিলিংয়ে সুরাহার পথ খুঁজছেন শিক্ষকরা
জলপাইগুড়ি ডিবিসি রোডের আনন্দচন্দ কমার্স কলেজের অধ্যাপক-অধ্যাপিকদের অভিযোগ, নিজের ইচ্ছেতেই কলেজ পরিচালানা করছেন অধ্যক্ষ । মহিলা অধ্যাপকদের নানাভাবে মানসিক অত্যাচার করার পাশাপাশি অকথ্য ভাষায় কথা বলেন । তিনি কোনও সংগঠন করতে দেবেন না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন মৌমিতা সেনগুপ্ত নামে এক অধ্যাপিকার । তিনি বলেন, "অধ্যক্ষ বলেছেন আমি তোমাদের চাকরি দিয়েছি, আমিই সব । এখানে চাকরি পেয়েছো, আমার জন্যই পেয়েছো ।যদি এখানে চাকরি না-পেতে তাহলে তো বারে গিয়ে ডান্স করতে হত । এমন কথা উনি কেন বলবেন ।"
আরও অভিযোগ, অন্য অধ্যাপকদের ডেকে এনে অপমান করছেন ৷ বিভিন্নভাবে চাপ ও হুমকি দিচ্ছেন ৷ এমনকী মহিলাদের অনুমতি না নিয়ে তাঁদের ঘরে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে ৷ প্রয়োজনে বাথরুমে সিসি ক্যামেরা বসাবেন বলেও হুমকি দেন । জেলা প্রশাসককে জানিয়ে এদিন আন্দোলনে নামেন কলেজের অধ্যাপকরা ।
আনন্দ চন্দ্র কমার্স কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ আরও পড়ুন :উচ্চমাধ্যমিক সাফল্যের আকাশছোঁয়া হারের মধ্যেও ব্যতিক্রমী দুর্গাপুরে, অকৃতকার্য একই স্কুলের 80!
তবে কলেজের অধ্যক্ষ সিদ্ধার্থ সরকার বলেন, "আমার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ভিত্তিহীন । আমি কাউকে কোনও খারাপ কথা বলিনি । আমি কাউকে কিছু বলে থাকলে তারা প্রমাণ দিক । আমি কলেজের সব জায়গায় সিসিটিভি বসিয়েছি । তাতে সমস্যা কোথায় ? আমি কলেজে কড়াকড়ি করি বলেই, আমার বিরুদ্ধে এমন বলা হচ্ছে । আমাকে আন্দোলনকারীরা মারতে পারে, তাই আমি পুলিশ সুপারকে অভিযোগ জানিয়েছি ।"