পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

পথ চলা শুরু সার্কিট বেঞ্চের; প্রথমদিনেই দায়ের সিভিল, ক্রিমিনাল মামলা - civil case

সার্কিট বেঞ্চের কার্যকারিতা শুরুর প্রথম দিনেই সিভিল মামলা করলেন আইনজীবী পার্থ চৌধুরি। ক্রিমিনাল মামলা করলেন আইনজীবী প্রসেনজিৎ দে।

জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ

By

Published : Mar 11, 2019, 8:25 PM IST

জলপাইগুড়ি, ১১ মার্চ : জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের পথ চলা শুরু হল আজ। সার্কিট বেঞ্চের কার্যকারিতা শুরুর প্রথম দিনেই সিভিল মামলা করলেন আইনজীবী পার্থ চৌধুরি। ক্রিমিনাল মামলা করলেন আইনজীবী প্রসেনজিৎ দে।

উল্লেখ্য, ১৯৬৩ সালে জলপাইগুড়িতে সার্কিট বেঞ্চের দাবিতে প্রথম আন্দোলন শুরু হয়েছিল। কার্যকারীতা শুরুর প্রথমদিন সার্কিট বেঞ্চের ১ নম্বর কোর্ট রুমে বসেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দার।

আইনজীবী পার্থ চৌধুরি বলেন, "আমার চেম্বার থেকে দুটি ক্যাভিয়েট ফাইল হয়েছে। জলপাইগুড়ির হাকিমপাড়ার বাসিন্দা শিপ্রা চক্রবর্তীর বাড়ি তাঁর দেওর বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী দখল করেছিলেন। আমরা সেই মামলা প্রথমে লোয়ার কোর্টে হেরে গেছিলাম। পরে জেলা জজ কোর্টে জিতেছি। আমার বিপক্ষ যাতে সেই মামলায় স্টে অর্ডার না পায়, তাই ক্যাভিয়েট ফাইল করলাম আজ। দ্বিতীয় মামলাটিও আমার চেম্বার থেকেই ফাইল হয়েছে। আইনজীবী দেবারতি ভৌমিক ফাইল করেছেন। এই মামলাটি ময়নাগুড়ির। মামলাটিতে জিতেছেন নারায়ণ মণ্ডল। নারায়ণ মণ্ডলের বাড়ির পাশে একটি জমি বিক্রি হয়েছিল তাঁকে না জানিয়ে। জেলা সিভিল জজ জুনিয়র ডিভিশনে মামলা করে আমরা জিতেছিলাম। সেক্ষেত্রেও কোনও এক্স পার্টি যাতে স্টে না নিতে পারে তার জন্য ক্যাভিয়েট দাখিল করা হয়েছে।"

তিনি আরও বলেন, "আজ আমরা খুবই খুশি। খুব ভালো অভিজ্ঞতা। আগে মামলা করতে কলকাতা যেতে হত। এখন জলপাইগুড়িতেই মামলা করতে পারব।"

আইনজীবী প্রসেনজিৎ দে বলেন, "আজ আমি কয়েকটি মামলা নিয়ে এসেছিলাম। তারমধ্যে একটি সিভিল ও একটি ক্রিমিনাল মামলার আপিল করেছি। এরমধ্যে একটি কিডন্যাপিং কেস আছে। অন্য ক্ষেত্রে, একজনের জমি ও বাড়ি দুষ্কৃতীরা নিজেদের বলে দাবি করছিল।"

প্রসেনজিৎ বাবুর মক্কেল মাটিগাড়ার চৈতন্যপুর এলাকার বাসিন্দা উজ্জ্বল বর্মণ বলেন, "আমার পিসতুতো ভাই মিঠুন রায় (২০) টাইলসের কাজ করে। গতমাসে সরস্বতী পুজোর পর ভাই একটি মেয়ের সঙ্গে জলপাইগুড়ি আসে। মেয়েটি ভাই এর সঙ্গে বাড়িতে চলে আসে। এরপর সকালে মেয়ের বাড়ির লোকজন আমাদের বাড়ি আসে তাকে নিতে। কিন্তু, সে ফিরতে চায়নি। এরপর তারা জলপাইগুড়িতে অপহরণের মামলা করে। পুলিশ ভাইকে তুলে নিয়ে যায়। ভাই এখন জেলে আছে। আমরা ভাইয়ের জামিনের জন্য আজ হাইকোর্টে আবেদন করলাম।"

মিঠুনের মা মুক্তা রায় বলেন, "আমরা গরিব। কলকাতা গিয়ে জামিন নেওয়া সম্ভব ছিল না। জলপাইগুড়িতে কলকাতা হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ হওয়ার ফলে আমাদের অনেক সুবিধা হল।"

শিলিগুড়ি নিউ পালপাড়ার বাসিন্দা পিঙ্কি গুনিন বলেন, "আমার মামলাটি তিন বছর আগে ফাইল করেছি। ২০১৪ সালে জমি কিনে বাড়ি বানিয়েছিলাম। কিন্তু ২০১৬ সালে আসারু রায় দাবি করেন, জমি তাদের। আজ আমি জমির দখলের জন্য হাইকোর্টের সিভিল কোর্টে আপিল করলাম। আমার আইনজীবী প্রসেনজিৎ দে মামলা করেন। কলকাতা হাইকোর্টে গিয়ে আমার পক্ষে মামলা করা সম্ভব ছিল না।"

ABOUT THE AUTHOR

...view details