জলপাইগুড়িতে রুট মার্চ কেন্দ্রীয় বাহিনীর জলপাইগুড়ি ও দার্জিলিং, 24 জুন: সন্ত্রাস কবলিত এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী রুটমার্চ করল শনিবার । 2018 সালে যেখানে ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণ ভাবে হয়নি, সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী ভোটারদের ভোটদানে আশ্বস্ত করল ।
পঞ্চায়েত ভোটের নিরাপত্তায় আসা কেন্দ্রীয় বাহিনী৷ শনিবার জলপাইগুড়িতে৷ 2018 সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন বজরাপাড়া, পাহাড়পুর, পাতকাটা-সহ বারোপেটিয়া ও বিভিন্ন এলাকায় শান্তিপূর্ণ ভোট হয়নি বলে অভিযোগ । জলপাইগুড়ি জেলায় সেই জায়গায় শান্তিপূর্ণ পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য রুটমার্চ শুরু করে কেন্দ্রীয় বাহিনী । শুক্রবার রাতে জলপাইগুড়ি জেলায় এসে পৌছায় কেন্দ্রীয় বাহিনী । এ দিন সকাল থেকে জলপাইগুড়ি জেলার বিভিন্ন ব্লকে রুট মার্চ শুরু করেন আইটিবিপি-র জওয়ানরা । মূলত, জলপাইগুড়ি জেলার সদর ব্লকেই এই টহল দিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী । সঙ্গে ছিল জলপাইগুড়ি কোতয়ালি থানার পুলিশ ৷
পঞ্চায়েত ভোটের নিরাপত্তায় আসা কেন্দ্রীয় বাহিনী৷ শনিবার জলপাইগুড়িতে৷ পাহাড়পুরের বাসিন্দা জাফরুল হুসেন, কালু বসাকদের কেন্দ্রীয় বাহিনী জওয়ানরা আশ্বস্ত করেন । ভয় না পেয়ে নিজের ইচ্ছেয় ভোট দেওয়ার কথা বলা হয় ৷ কোনও সমস্যায় পড়লে সরাসরি কেন্দ্রীয় বাহিনী বা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শও দেন তাঁরা ৷
পঞ্চায়েত ভোটের নিরাপত্তায় আসা কেন্দ্রীয় বাহিনী৷ শনিবার জলপাইগুড়িতে৷ অন্যদিকে দার্জিলিং জেলায় এক কোম্পানি ও কালিম্পং জেলায় এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে । দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলায় পঞ্চায়েত নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ভাবে করাতে এ দিন সকাল থেকেই দুই জেলায় টহল দেয় কেন্দ্রীয় বাহিনী । পাহাড়বাসীকে নির্ভয়ে ভোট দেওয়ার জন্য আশ্বস্তও করা হয় বাহিনীর তরফে ৷
পঞ্চায়েত ভোটের নিরাপত্তায় আসা কেন্দ্রীয় বাহিনী৷ শনিবার জলপাইগুড়িতে৷ প্রসঙ্গত, সিপিএমের মহেন্দ্র রায় জলপাইগুড়ির প্রাক্তন সাংসদ থাকাকালীন 2013 সালে ভোট দিতে পারেননি ৷ সন্ত্রাসের কারণে তিনি ভোট দিতে পারেননি বলে সংসদেও অভিযোগ করেছিলেন ৷ 2018 সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনেও বজরাপাড়া এলাকায় সন্ত্রাসের অভিযোগ ওঠে ৷ কাঠগড়ায় ছিল শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ৷ বিরোধীরা কার্যত কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল ।
পঞ্চায়েত ভোটের নিরাপত্তায় আসা কেন্দ্রীয় বাহিনী৷ শনিবার জলপাইগুড়িতে৷ এ দিন জলপাইগুড়ির সন্ত্রাস কবলিত এলাকায় আধাসামরিক বাহিনীর টহল দেওয়ার ফলে স্থানীয় মানুষ অনেকটাই আস্বস্ত হচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে ৷ কালু বসাক, জাফরুল হুসেনরা বলছেন যে তাঁরা ভালোভাবে ভোট দিতে পারবেন । কিন্তু বাস্তবে কী হয়, সেটার জন্য অপেক্ষা করতেই হবে আগামী 8 জুলাই পর্যন্ত ।
পঞ্চায়েত ভোটের নিরাপত্তায় আসা কেন্দ্রীয় বাহিনী৷ শনিবার জলপাইগুড়িতে৷ আরও পড়ুন:অশান্ত ভাঙড়ে পৌঁছল 1 কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী