জলপাইগুড়ি, 16 জুন: মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার প্রথম দিন থেকেই একাদিক জায়গায় অশান্তির ছবি ধরা পড়েছিল ৷ শাসকদলের বিরুদ্ধে বিরোধীদের মনোনয়ন পত্র জমা দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগও উঠেছিল ৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের দিকেই তাকিয়ে ছিল বিরোধী শিবির ৷ সেই পুলিশের বিরুদ্ধেও শাসক দলকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে । এর ঠিক উলটো চিত্র দেখা গেল জলপাইগুড়িতে ৷
বৃহস্পতিবার ছিল মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ৷ কোতয়ালির থানার আইসি দাঁড়িয়ে থেকে মনোনয়ন জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করলেন প্রার্থীদের। শুধু তাই নয়, ভয় পেয়ে মনোনয়ন কেন্দ্র থেকে চলে যাওয়া বিরোধী প্রার্থীর বাড়িতে গিয়ে তাঁকে মনোনয়ন জমা দিতে আশ্বস্তও করলেন আইসি। সবাই যাতে মনোনয়ন দিতে পারেন তা নিশ্চিত করার নির্দেশ ছিল পুলিশ সুপারের । সেই দায়িত্বই পালন করলেন আইসি। মনোনয়ন পত্র ছিঁড়ে ফেলা সিপিআই, বিজেপি, ও নির্দল প্রার্থীরা যাতে মনোনয়ন জমা দিতে পারেন সেই ব্যবস্থা করলেন আইসি অর্ঘ্য সরকার।
পাহাড়পুর গ্রামপঞ্চায়েতের সঞ্জয় নগর কলোনী এলাকায় সিপিএম প্রার্থী পায়েল রাজবংশী মনোনয়ন দিতে এলে তৃণমূল ছিড়ে দেয় বলে অভিযোগ। যদিও পরে আইসি কোতোয়ালি অর্ঘ্য সরকার প্রার্থীদের নিয়ে এসে মনোনয়ন দেওয়ানোর ব্যবস্থা করেন । প্রস্তাবক নিতাই রাজবংশী বলেন, "বিডিও অফিসে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে ঢুকলে আমাদের কাগজপত্র ছিঁড়ে দেয় দুস্কৃতীরা । মনোনয়ন দেওয়ার ঘরে কোনও পুলিশ ছিল না । যদিও এরপর পুলিশই আমাদের মনোনয়ন জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেয়।"