জলপাইগুড়ি, 8 জুন : প্রথম পর্যায়ে সংস্কারের পর পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হল বক্সা ফোর্ট (Buxa Fort opening today for tourists) । আর তাতেই নতুন করে বেঁচে থাকায় রসদ খুঁজে পেলেন বক্সার বাসিন্দারা। বক্সার মানুষের অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড বলতে পর্যটন। বক্সাকে কেন্দ্র করে প্রচুর মানুষ সান্তালা বাড়ি থেকে ট্রেকিং করে বক্সা পাহাড়ে আসেন। এতদিন সংস্কারের কারণে বক্সা ফোর্টে পর্যটকদের ঢোকা নিষেধ ছিল। একদিকে বক্সা পাহাড়ের অপরূপ শোভা অন্যদিকে ঐতিহাসিক বক্সা ফোর্ট দেখতে প্রচুর মানুষ বক্সায় আসবেন বলে আশা করছেন পাহাড়বাসী ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
এই দুইয়ের টানে হাজারহাজার মানুষ ছুটে যান আলিপুরদুয়ারের পাহাড়ি জনপদ বক্সায়। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় 2844 ফুট উপরে অবস্থিত আলিপুরদুয়ার জেলার বক্সাফোর্ট। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে প্রথম ধাপে 3 কোটি 1 লক্ষ টাকা ব্যায় করে এই বক্সা ফোর্টকে সংস্কার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন :চা বাগানে গিয়ে শ্রমিকদের সমস্যার কথা শুনলেন মুখ্যমন্ত্রী
ইতিহাসকে বিকৃত না-করেই বক্সা ফোর্টের সংস্কার করেছেন কলকাতার ক্যালটেক সংস্থা। আর্কিওলজিস্ট তমাল গোস্বামীর পরামর্শে কাজ হয়েছে। পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে ফোর্টের ভিতরে ক্যাফেটেরিয়াও করা হচ্ছে। 2020 সালের মার্চ মাস থেকে ধ্বংসপ্রায় এই বক্সা ফোর্টের সংস্কারের কাজ শুরু করে রাজ্য সরকার।
ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী ভারতীয়দের এই বক্সা জেলেই বন্দি করে রাখা হত। সেলুলার জেলের পাশাপাশি সেই সময়কার কুখ্যাত জেল হিসেবে বক্সার জেলের নাম ছিল অন্যতম। এই জেলের একেবারে ছোট্ট কুঠুরিতে বন্দিদের রাখা হত ৷ বক্সা পাহাড়ের বাসিন্দা ইন্দ্র শঙ্কর থাপা বলেন, "দীর্ঘদিন ধরেই বক্সা ফোর্ট অবহেলিত ছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার বক্সা ফোর্টের সংস্কার করে মঙ্গলবার পর্যটকদের জন্য খুলে দিলেন। এতে করে আমাদের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন হবে। অনেক গাইডাররা কাজের সুযোগ পাবেন ৷ আমরা খুব খুশি।"
ঐতিহাসিক বক্সা ফোর্ট দেখতে প্রচুর মানুষ বক্সায় আসবেন বলে আশা করছেন পাহাড়বাসী ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা