জলপাইগুড়ি, 21 অগাস্ট : সোমবার (10 অগাস্ট) । সবে সন্ধে ঘনিয়েছে । ঘড়ির কাঁটায় তখন প্রায় সাতটা । হঠাৎ মোবাইল বেজে ওঠে কিশোরীর । কিছুক্ষণ কথা হয় । ফোনের ওপার থেকে কেউ দেখা করার জন্য বলে । ফোন রেখে তখনই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় বছর ষোলোর ওই কিশোরী । এরপর থেকেই আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না তার । মঙ্গলবার (11 অগাস্ট) নিখোঁজ ডায়েরি করা হয় থানায় । অনেক চেষ্টার পরও কোনও খোঁজ পাওয়া যায় না কিশোরীর । এরপর গতরাতে এলাকার এক স্কুলের সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হয় কিশোরীর দেহ । তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ । জলপাইগুড়ির রায়গঞ্জ থানা এলাকার ঘটনা । ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে এখনও পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ।
10 অগাস্টের সন্ধ্যায় ফোন আসার পর তাড়াহুড়ো করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় কিশোরী । তাড়াহুড়ো করে বেরোনোর সময় বাড়িতেই মোবাইল ফেলে যায় সে । সেই মোবাইলের একটি ভয়েস রেকর্ডিং পুলিশের হাতে এসেছে । রেকর্ডিংয়ে রহমান আলি নামে এলাকারই বছর তিরিশের যুবকের সঙ্গে নির্যাতিতার কথোপকথন উঠে আসে, যা থেকে স্পষ্ট হয় রহমানই সেই সন্ধ্যায় ডেকেছিল কিশোরীকে । এই রহমান নির্যাতিতার পূর্ব পরিচিত । মিসড কলের মাধ্যমে পরিচয় হয় দু'জনের । এরপর ধীরে ধীরে সম্পর্ক গভীর হয় । ঘনিষ্ঠতা বাড়ে ।
আরও পড়ুন :চাঁচলে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে গণধর্ষণ