আলিপুরদুয়ার, 11 নভেম্বর: গ্রামে হাতির হানা রুখতে মৌমাছি চাষ । কামড়ের ভয়ে মৌমাছির ধারে কাছেও ঘেষছে না হাতির পাল (Bee Farming to Prevent Elephant Attacks)। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গল থেকে প্রায়শই লোকালয়ে বেরিয়ে আসছে হাতি । বিশেষ করে বক্সার জঙ্গল লাগোয়া বন বস্তি বা গ্রামগুলোতে হাতি হানা নিত্য দিনের ঘটনা । আর তা রুখতেই এই অভিনব উদ্যোগ ।
হাতির হানায় বিঘার পর বিঘা ধান থেকে শুরু করে সবজি সাবার করে চলে যায় হাতির দল । ফলে আর্থিকভাবে সমস্যায় পড়েন কৃষকরা। শুধু কৃষকের আনাজই নয়, হাতির হানায় ঘর বাড়ি যেমন ক্ষতি হয় তেমনই জীবনহানিও ঘটে । এমন পরিস্থিতিতে হাতির হানা রুখতে মৌমাছি পালনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন সমাজসেবী সদানন্দ চক্রবর্তী । তার হাত ধরেই জেলা প্রশাসন আলিপুরদুয়ার 2 নং ব্লকের নুরপুর গ্রামে মৌমাছি পালনের উদ্যোগ নেয় ।
আরও পড়ুন:মাকে বাঁচিয়ে মৌমাছির কামড়ে মৃত্যু ছেলের
জঙ্গল থেকে গ্রামে হাতি ঢোকার করিডোরে মৌমাছি চাষ করা হচ্ছে । ফলে ওই পথ দিয়ে হাতি আর আসছে না । মৌমাছির ভয়ে হাতি কম আসছে আর তাই ফসলও নষ্ট হচ্ছে না । মৌমাছি চাষের ফলে মধু সংগ্রহ করে রোজগারও হচ্ছে । হাতির হানা অনেকটাই কমে গিয়েছে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের নুরপুর গ্রামে । এমনটাই দাবি গ্রামবাসীদের । হাতির হানা কম হওয়ার ফলে নিশ্চিন্তে চাষাবাদ করছেন গ্রামবাসী । এবার ধানের ফলনও ভালো হয়েছে । অন্যান্য চাষও করেছেন গ্রামবাসীরা । নুরপুরের রায়পাড়া, আলবিশ পাড়া, বল্কুপাড়া, দামশিবাদ, গির্গাপাড়ার প্রায় কয়েকশো পরিবার এই মৌমাছি পালনের সঙ্গে যুক্ত । খাদি ইন্ডিয়ার রিডিউসিং এলিফ্যান্ট হিউম্যান অ্যাটাকস ইউসিং বিস (Reducing Elephant-Human Attacks using Bees) প্রজেক্টের মাধ্যমে মৌমাছি চাষ হচ্ছে । বর্ষাকাল বাদ দিয়ে বছরের অন্যান্য সময় মধু সংগ্রহ হচ্ছে । তবে গ্রামবাসীদের আরও প্রশিক্ষনের প্রয়োজন রয়েছে বলে জানা গেছে ।