জলপাইগুড়ি, 10 জুলাই: ভেবেছিলেন ট্রেনটি বাংলাদেশে যাবে। তাই ট্রেনের বাথরুমে ঘাপটি মেরে লুকিয়ে ছিলেন। কিন্তু জলপাইগুড়ি টাউন ষ্টেশনে আসতেই বিপত্তি। সোমবার ট্রেনের বাথরুম থেকে গ্রেফতার বাংলাদেশী যুবক। ধৃতের নাম মহরম আলি (28)। বাংলাদেশের হাবিগঞ্জ জেলার সিলেট শহরের বাসিন্দা তিনি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের কাঁটাতার টপকে বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রাণ বাঁচাতেই, নাকি ধৃত মহরম ভারতে প্রবেশ করেছিলেন 10 দিন আগে। কিন্তু পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে চিন্তিত হয়ে পড়েন তিনি। ফের বাংলাদেশে ফিরে যাবার চেষ্টা করতেই ধরা পরে যান।
জানা গিয়েছে, 10 দিন আগে ভারতে প্রবেশের পর এদিক-ওদিক ঘুরে বেড়িয়েছেন মরহম ৷ কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরেই বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ করতে না-পেরে ফের একইভাবে বাংলাদেশ যাাওয়ার প্ল্যান করেন তিনি ৷ ফলে মহরম প্রথমে হলদিবাড়ি থেকে নিউ জলপাইগুড়ি ষ্টেশনে যান। সেখান থেকে ভাবেন, এই ট্রেনই যাবে বাংলাদেশ ৷ ফলে হলদিবাড়ি লোকাল ট্রেনের বাথরুমে লুকিয়ে পড়েন। কিন্তু মহরম বুঝতে পারেননি, আসলে তিনি উঠে পড়েছেন ভুল ট্রেনে।
ট্রেনটি জলপাইগুড়ি স্টেশনে ঢোকার পর দাঁড়িয়ে ছিল । কিন্তু হঠাৎই আরপিএফ কর্মীদের নজরে আসে, ট্রেনের বাথরুম ভিতর থেকে বন্ধ । তাঁদের মনে সন্দেহ জাগে । বাথরুমের ভিতরে কে রয়েছেন তা জানতে দরজা ভাঙার উপক্রম হতেই বেরিয়ে আসেন মহরম। এরপর টাউন ষ্টেশনের আরপিএফ জওয়ানরা সেই যুবককে আটক করেন।
মহরম আরপিএফ জওয়ানদের কাছে দাবি করেছেন, প্রাণ বাঁচাতেই ভারতে এসেছিলেন। আবার বাংলাদেশে ফিরে যাচ্ছিলেন। কিন্তু ট্রেনটি যে বাংলাদেশে যাবে না, সেটা জানা ছিল না তাঁর। তিনি জানান, গ্রামের কয়েক জন তাঁকে মেরে ফেলবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল । তাই সে প্রাণ ভয়ে পালিয়ে এসেছিল ভারতে। হলদিবাড়ি স্টেশন থেকে জলপাইগুড়ি হয়ে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে যান তিনি। সেখান থেকেই হলদিবাড়ি হয়ে ট্রেনটি বাংলাদেশে যাবে ভেবে ফের ট্রেনে উঠে পরেন। তারপরেই লুকিয়ে পড়েন ট্রেনের বাথরুমে।
আরও পড়ুন: নদী গ্রাসে তলিয়ে যাচ্ছে বসত বাড়ি, ভোটপ্রচার ভুলে ঘর বাঁধতে ব্যস্ত এলাকাবাসী
এদিন দু'মিনিটের জায়গায় টাউন স্টেশনে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়ায় এনজেপি-হলদিবাড়ি প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি। ধৃত যুবককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে আরপিএফ।