পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

Child Trafficking: 6 বছর পার, শিশু পাচারকাণ্ডে জামিন মূল অভিযুক্তের

6 বছর আগে শিশু পাচারকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত চন্দনা চক্রবর্তীকে জামিল দিলেন বিচারক ৷ বুধবার তাঁর সঙ্গে একই মামলায় চন্দনাকে সাহায্য করায় অভিযুক্ত সোনালি মণ্ডলেরও জামিন হয়েছে ৷

Child Trafficking
শিশু পাচারকাণ্ডে জামিন অভিযুক্তের

By

Published : Jun 1, 2023, 11:47 AM IST

6 বছর পর জামিন পেলেন শিশু পাচারে মূল অভিযুক্ত

জলপাইগুড়ি, 1 জুন: শিশু পাচারকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত চন্দনা চক্রবর্তীর জামিন। তিনি বুধবার জামিন পেলেও তাঁর বিরুদ্ধে আরও দু'টি মামলা রয়েছে। পুলিশ 6 বছরেও মূল অভিযোগকারীকে আদালতে সাক্ষীর জন্য না-আনতে পারায় জামিন হল চন্দনার। এমনটাই দাবি জলপাইগুড়ি লিগ্যাল এইড ডিফেন্স কাউন্সিল কল্লোল ঘোষের। অন্যদিকে, একই মামলায় চন্দনার সহযোগী সোনালি মণ্ডলেরও জামিন হয়েছে ৷

কল্লোল ঘোষ বলেন, "2017 সালের 27 জানুয়ারি সমীর বাসফোর নামে এক ব্যক্তি কোতোয়ালি থানায় একটি অভিযোগ দায়ে করেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, চন্দনা চক্রবর্তীর হোমে থাকা তাঁর শিশুকে তিনি দেখতে পাচ্ছিলেন না। এরপর শিশু বিক্রির অভিযোগ করা হয় কোতোয়ালি থানায়। এরপর কোতোয়ালি থানার পুলিশ তদন্তে নামে। চন্দনার বিরুদ্ধে 370 (3), জেজে আইনে মামলা রুজু করে। ওই বছরের 17 মে এই মামলায় চন্দনাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তদন্তে নেমে কোতোয়ালি থানার পুলিশ চার্জশিট দেয় 2017 সালের 13 অগস্ট । সেখানে 28 জনকে সাক্ষ্য হিসেবে দেখানো হয় ।

কিন্তু সেবছর থেকে আজ পর্যন্ত অভিযোগকারী সমীর বাসফোরকে সাক্ষী হিসেবে আদালতে আনতে অসমর্থ হয় পুলিশ। বুধবার মামলা শুনে জয়পাইগুড়ি জেলা আদালতের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক দেবপ্রিয় বসু অভিযুক্ত চন্দনা চক্রবর্তীকে জামিন দেন। এত বছরেও যখন সমীর বাসফোরকে আদালতে সাক্ষীর জন্য আনা গেল না তখন পরে সমীরের আর কোনও সাক্ষীগ্রহণ করা হবে না বলে বিচারক জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, বীরপাড়ার সমীর বাসফোর ও কাজল বাসফোরের শিশুকে চন্দনা চক্রবর্তী তাঁর বিমলা শিশুগৃহে রেখেছিলেন। অভিযোগ, পরে শিশুটির নাম বদলে ফেলেছিলেন তিনি ।

আরও পড়ুন:টোটো চালকের তৎপরতায় বানচাল নাবালিকা পাচার!

2017 সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আলিপুরদুয়ার জেলার বীরপাড়ার দলগাঁওয়ের দুখিরাম পল্লীর বাসিন্দা সমীর ও তাঁর স্ত্রী দেখা করেন তৎকালীন জেলাশাসক রচনা ভগতের সঙ্গে ৷ দেখা করে তাঁদের শিশুকে ফিরে পাওয়ার দাবি জানান। এর পাশাপাশি মেয়েকে ফিরে পেতে চাইন্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির কাছেও আবেদন করেন সমীর ৷ নাম বদলে ফেলায় তাঁদের শিশুকে সে সময় পাওয়া যায়নি।

ABOUT THE AUTHOR

...view details