জলপাইগুড়ি, 8 মে : বায়ো মেডিক্যাল বর্জ্য-সহ প্ল্যাস্টিকের ব্যাগের গন্ধে বিপাকে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আসা রোগীরা । তার কোনওটি থেকে বেরিয়ে আসছে পচা গন্ধ যুক্ত নোংরা জল । ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে রক্ত মাখা-গজ সহ অন্যান্য সামগ্রী । এর সামান্য দূরেই লম্বা লাইনে নাকে রুমাল দিয়ে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন বয়সের মানুষ । যাঁরা করোনা পরীক্ষার জন্য দাঁড়িয়ে ।
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে একধিক পদক্ষেপের পাশাপাশি যেখানে সরকারি পক্ষ থেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর দিতে বলা হচ্ছে, সেই জায়গা থেকে গত কয়েকদিন থেকে এমনই চিত্র নজরে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে । যা নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ করতে দেখা গেল করোনা পরীক্ষা করাতে আসা একাধিক ব্যাক্তিকে । যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, ওই মেডিক্যাল বর্জ্য নিয়ে যাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট একটি সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া আছে । তারাই দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করছে না ।
সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল তৈরি হওয়ার পরে জেলা হাসপাতালে থেকে মেডিসিন বিভাগ, সার্জিক্যাল বিভাগ, অর্থোপেডিক বিভাগ, চর্ম বিভাগ সেখানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় । 500 বেডের এই হাসপাতালে জলপাইগুড়ি জেলার বিভিন্ন এলাকা ছাড়াও পাশের জেলার কয়েকটি জায়গা থেকে বহু মানুষ চিকিৎসা করাতে আসেন ৷ এছাড়াও দৈনিক 5 থেকে 7 টি অস্ত্রোপচার করা হয় এই হাসপাতালে । স্বাভাবিক ভাবেই বায়োমেডিক্যাল বর্জ্যে পরিমাণ যেমন বেশী হয়, অন্যদিকে রোগীদের উচ্ছিষ্ট খাবার-সহ অন্যান্য বর্জ্যও বেশী পরিমাণে বেরিয়ে থাকে ।
হাসপাতালে সুত্রে খবর, বায়োমেডিক্যাল বর্জ্যগুলি লাল এবং হলুদ প্ল্যাস্টিকের ব্যাগে রাখা হয়ে থাকে । এছাড়া অন্যান্য বর্জ্য রাখা হয় কালো প্ল্যাস্টিকের ব্যাগে । এই বর্জ্যগুলি রাখার জন্য হাসপাতালে পাশে একটি ঘর তৈরি করা হলেও প্লাস্টিকের ব্যাগগুলি বাইরে ফেলে রাখা হচ্ছে । যেখান থেকে পচা গন্ধ ছড়াচ্ছে । এর কিছু দূরেই হাসপাতালের পক্ষ থেকে খোলা হয়েছে করোনার আরটিপিসিআর এবং র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা কেন্দ্র । যেখানে প্রতিদিন বিভিন্ন বয়সী মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন ।