জলপাইগুড়ি, 5 ডিসেম্বর : রাষ্ট্রপতির হাত থেকে ন্যাশনাল ফ্লোরেন্স নাইটিংগেল অ্যাওয়ার্ড পেলেন ময়নাগুড়ির অরূপা সাহা । প্রত্যন্ত আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় স্বাস্থ্য কর্মী ৷ গোরুমারা জাতীয় উদ্যানের জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় 2005 সাল থেকে সচেতেনতা বাড়িয়ে স্বাস্থ্য পরিষেবা দিয়ে আসছেন তিনি । একটা সময় ছিল প্রতিটি বাড়িতেই সন্তান প্রসব করানো হত । এমন কী ম্যালেরিয়াও ছিল ঘরে ঘরে । এমন অবস্থায় স্বাস্থ্য কর্মী হিসেবে কাজে যোগ দিয়ে আজ সাফল্য পেলেন ময়নাগুড়ির অরূপা সাহা ।
প্রত্যন্ত এলাকায় স্বাস্থ্য পরিষেবা দিয়ে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার ময়নাগুড়ির অরূপার
স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে অসামান্য কৃতিত্বের জন্য রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পেলেন অরূপা সাহা ৷ দিল্লিতে আজ বিজ্ঞান ভবনে তাঁর হাতে ন্যাশনাল ফ্লোরেন্স নাইটিংগেল অ্যাওয়ার্ড তুলে দিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ৷ প্রত্যন্ত আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় স্বাস্থ্য সচেতেনতা বাড়ানোর জন্যই আজ এই সম্মানে ভূষিত হলেন তিনি ৷
স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে অসামান্য কৃতিত্বের জন্য ন্যাশনাল ফ্লোরেন্স নাইটিংগেল অ্যাওয়ার্ড পেলেন । দিল্লীতে আজ বিজ্ঞান ভবনে রাস্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের হাত থেকে ন্যাশনাল ফ্লোরেন্স নাইটিংগেল অ্যাওয়ার্ড পেলেন জলপাইগুড়ি জেলায় ময়নাগুড়ির প্রত্যন্ত রামশাই কাটামাটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের এই স্বাস্থ্য কর্মী । অরূপা সাহা বলেন, "আমি কোনওদিনই ভাবিনি আমি রাষ্ট্রপতির হাত থেকে কোনও পুরস্কার পাব । আজ আমি গর্বিত । একটা সময় ছিল কালামাটি এলাকাতে ঘরে ঘরে সন্তান প্রসব হত । কেউ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যেতে চাইতেন না । আমি সেটা বন্ধ করেছি । এমন কী গোরুমারা জাতীয় উদ্যানের জঙ্গলে লাগোয়া বন ও বস্তি গুলোতেও ম্যালেরিয়া ছিল ৷ আজ আমি কষ্ট করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সচেতেনতা বৃদ্ধি করে সেটাও কম করতে পেরেছি । রাস্তাঘাট তেমন ছিল না । আমাকে অনেক কষ্ট করে সেখানে গিয়ে স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে হয়েছে । সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দেবার জন্য আমি দাঁতে দাঁতে চেপে কাজ করে গেছি ৷ আজ হয়ত তারই সম্মান পেলাম । "
তিনি আরও বলেন, "উত্তর কালামাটি সাবসেন্টারে ANM (হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট ফিমেল) হিসেবে 2005 সাল থেকে কাজ করছি । আজ দিল্লিতে আমাকে সম্মান জানানো হল ৷ আমার কাজের দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল । আগে রাস্তা ছিল না । আমাকে পায়ে হেঁটেই সব এলাকা ঘুরতে হত । পরে ভ্যান-রিকশা করে যেতাম । এই ভাবেই পরিষেবা দিয়ে গেছি।" ময়নাগুড়ি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক লাকি দেওয়ান বলেন, খুব ভালো লাগছে একজন কাজের মানুষ এই সম্মান পেলেন ।