ধুপগুড়ি, 9 জুন : জামাইষষ্ঠী মানেই শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার জন্য জামাইদের প্রস্তুতি । কবজি ডুবিয়ে ভালোমন্দ খাওয়া । বাজারের ব্যাগ হাতে জামাইয়ের জন্য সেরা সবজি, মাছ, মাংস, ফল, মিষ্টি কিনে আনতে শ্বশুরদের হুড়োহুড়ি । তবে ধুপগুড়ির সারদা পল্লি এলাকার বাসিন্দা অনন্ত বর্মণের বাড়ির ছবিটা অন্যরকম । বিয়ের পর প্রথম জামাইষষ্ঠী । কিন্তু শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার কোনও তাড়া নেই অনন্তর । নেই কোনও প্রস্তুতিও । তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়নি । তাই জামাইষষ্ঠীতে যাওয়া হল না এবার।
বিয়ে মানেনি শ্বশুরবাড়ি, জামাইষষ্ঠীতে যাওয়া হল না অনন্তর
বিয়ের পর প্রথম জামাইষষ্ঠী । তবু শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার কোনও তাড়া নেই অনন্তর । শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক না হওয়ায় জামাইষষ্ঠীতে যাওয়া হল না ।
চাকরিজীবী ছেলের সঙ্গে বিয়ের সম্বন্ধ দেখছিল লিপিকার বাড়ি থেকে । ছেলে পছন্দ হওয়ায় 8 বছরের সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চেয়েছিল সে । তবে অনন্ত নাছোড়বান্দা । সে হার মানেনি । নিজের ভালোবাসাকে ফিরে পেতে ধরনায় বসার সিদ্ধান্ত নেয় সে । 2 জুন ধরনায় বসে 8 বছরের সম্পর্ককে বাঁচাতে চেয়েছিল অনন্ত । তারপর প্রেমিকা লিপিকাকে বিয়ের জন্য রাজি করায় । 3 জুন তাদের বিয়েটাও হয় । তবে এখনও অনন্ত-লিপিকার বিয়ে মেনে নেয়নি শ্বশুরবাড়ির লোকজন । তাই জামাইষষ্ঠীর দিনটাও কাটল আর পাঁচটা দিনের মতো । রোজের মতো ধুপগুড়ির সুপার মার্কেটে সবজি বিক্রি করল সে । গতকাল দুপুরে কথা বলতে গেলে অনন্ত জানায়, শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি । তার বাবা কথা বলতে গেছিলেন । তবে তারা এখনও কিছু জানায়নি ।
ষষ্ঠীতে যাওয়ার প্রশ্ন করতেই অনন্ত বলে, "জামাইষষ্ঠীর নিয়ম নেই । তাই শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছি না । শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে আপাতত যাওয়া আসা নেই । কোনও কথাবার্তাও তাদের সঙ্গে হচ্ছে না । " তবে আগামী বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে বাড়ির সামনেই বউভাত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে । সেখানে শ্বশুরবাড়ির সবাইকেই আমন্ত্রণ জানানো হবে ।