জলপাইগুড়ি, 23 সেপ্টেম্বর : উত্তরবঙ্গে স্বাস্থ্য বিভাগের ওএসডি চিকিৎসক সুশান্ত রায়ের বিরুদ্ধে এবার নতুন অভিযোগ ৷ জলপাইগুড়ি হাসপাতালের 18 জন চিকিৎসককে তাঁর কথামতো না চলায় চাকরি ছাড়তে বাধ্য করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে ৷ অভিযোগ, তাঁর কথা না শুনলে বা মতের মিল না হলে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের বদলি করিয়ে দেন উত্তরবঙ্গের ওএসডি ৷ অভিযোগ ইতিমধ্যে 18 জন চিকিৎসককে চাকরি ছাড়তে বাধ্য করেছে সুশান্ত রায় ৷ একাধিক বিরোধী দল এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরফে এমনই অভিযোগ করা হয়েছে ৷ এমনকি সুশান্ত রায়ের এই স্বেচ্ছাচারীতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে জেল খাটতেও হয়েছে অনেককেই ৷ অভিযোগ, পুরো বিষয়টি নিয়ে নীরব রয়েছে স্বাস্থ্য দপতর ৷
অভিযোগ সুশান্ত রায় এই সব কাজ করেন মুখ্যমন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে ৷ তিনি নিজেকে মুখ্যমন্ত্রীর কাছের লোক পরিচয় দিয়ে চিকিৎসকদের বদলি করিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা গ্রিন জলপাইগুড়ি ৷ বহু চিকিৎসক তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় মানসিকভাবে অত্যাচারিত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ৷ তাদের প্রশ্ন, যেখানে রাজ্যে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকের অভাব রয়েছে, সেখানে সুশান্ত রায়ের এমন অবিবেচকের মতো কাজে স্বাস্থ্য দফতরও কোনও ব্যবস্থা কেন নিচ্ছে না ? যদিও জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, ওই চিকিৎসকরা নিজেদের স্বেচ্ছায় চাকরি ছেড়েছেন ৷
আরও পড়ুন : North Bengal OSD : সুশান্ত রায়ের নীলবাতির গাড়ি ব্যবহার নিয়ে একাধিক প্রশ্ন, বিতর্ক
জলপাইগুড়ি গ্রিন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের অভিযোগ, তাঁদের কর্মীরা সুশান্ত রায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় অনেককে জেলে ভরে দেওয়া হয়েছে ৷ অঙ্কুর দাস নামে ওই সংগঠনের এক কর্মী জানিয়েছেন, চিকিৎসক অতনু কুমার, সুব্রত রায় এবং সুমন্ত্র মুখোপাধ্যায়ের মতো নামী চিকিৎসকদের বাধ্য করা হয়েছে স্বেচ্ছা অবসরে যেতে ৷ এমনকি অনেক চিকিৎসক, যাঁরা সুশান্ত রায়ের কথা শোনেননি, তাঁদের জলপাইগুড়ি হাসপাতাল থেকে অন্যত্র বদলি করে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে ৷ তিনি জানান, তাঁদের সংগঠন বদলি হওয়া চিকিৎসকদের হাসপাতালে ফিরিয়ে আনার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছে ৷ পাশাপাশি সুশান্ত রায়ের অপসারণ দাবি করেছে তারা ৷ এ নিয়ে জেলাশাসক, পুলিশ সুপার এবং জেলা স্বাস্থ্য অধিকর্তার কাছেও অভিযোগ জানানো হয়েছে ৷ নিজেদের দাবিতে রাস্তায় নেমে আন্দোলনও করেন সংগঠনের কর্মীরা ৷ কিন্তু, পুলিশ সুপার সুশান্ত রায়ের কথায় পাল্টা ওই সংগঠনের কর্মীদের গ্রেফতার করেন বলে অভিযোগ অঙ্কুর দাসের ৷