জলপাইগুড়ি, 30 সেপ্টেম্বর : সরকারি হাসপাতালের কর্মীর অবর্তমানে কাজ করছে অন্য লোক । সরকারি হাসপাতালে থেকে রেফার করা গর্ভবতী মহিলাকে মেডিকেল কলেজে না নিয়ে রোগীকে নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়ায় জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে, এমন অভিযোগই উঠেছে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে ৷ রোগীর পরিবারের অভিযোগ, মাদার এন্ড চাইল্ড হাবে সক্রিয় রয়েছে দালাল চক্র ।
হাসপাতালে দালাল চক্রের অভিযোগে বুধবার রাতে উত্তেজনা ছড়ায় জলপাইগুড়ি জেলা সদর হাসপাতালের মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাবে ৷ হাসপাতাল কর্মীদের মারতে উদ্যত হন রোগীর আত্মীয়রা ৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে হাসপাতালে আসে কোতয়ালি থানার পুলিশ । জানা গিয়েছে, মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাবে হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে চিকিৎসাধীন ছিলেন তনজিনা খাতুন নামে নাগরাকাটার এক গর্ভবতী মহিলা । রোগীর পরিবারের অভিযোগ, এখান থেকে আলট্রাসোনোগ্রাফি করাতে বেসরকারি ল্যাবে যেতে চাপ দিচ্ছেন হাসপাতাল কর্মীদের একাংশ৷ উত্তরবঙ্গ মেডিকল কলেজ ও হাসপাতালেও রেফার করা হয় ওই গর্ভবতী মহিলাকে । আর এতেই বাধে বিপত্তি ।
আরও পড়ুন : Child death : জলপাইগুড়িতে শিশু মৃত্যু নিয়ে সরকারি তথ্যে বিভ্রান্তি
অভিযোগ, হাসপাতালে কর্মরত বুড়া নামে এক ব্যক্তি ওই মহিলার রেফার কাগজ নিয়ে তাঁকে নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়ার জন্য রোগীর পরিবারের উপর জোর করতে থাকেন । এমনকি তাঁদের কাগজও ছিঁড়ে দেন বলে অভিযোগ । হাসপাতালের অন্য কর্মীরা আবার জানিয়েছেন, বুড়া নামে এই ব্যক্তি অন্য একজন হাসপাতাল কর্মীর 'ডামি' হিসেবে কাজ করছেন । আর তা হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মদতেই । রোগীর পরিবার জানিয়েছে, ওই গর্ভবতী মহিলা তিন ঘণ্টা ধরে গর্ভে মৃত বাচ্চা নিয়ে বসে ছিলেন হাসপাতাল চত্বরে । হাসপাতাল কর্মীর এমন আচরণ দেখে উত্তেজিত হয়ে পড়েন অন্য রোগীর আত্মীয়রাও । তাঁদের চাপে প্রায় তিন ঘণ্টা পর অ্যম্বুলেন্সের ব্যবস্থা হয় । গর্ভবতী মহিলাদের এই হাসপাতালের লিফ্টে করে মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাবে নিয়ে যেতে কর্তব্যরত কর্মীদের একাংশ 300 থেকে 700 টাকা করে দাবি করেন বলেও অভিযোগ তুলেছেন রোগীদের আত্মীয়রা ।
হাসপাতালে দালাল চক্রের অভিযোগে বুধবার রাতে উত্তেজনা ছড়ায় জলপাইগুড়ি জেলা সদর হাসপাতালের মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাবে হাসপাতালের কর্মীদের একাংশের দাবি, বুড়া নামে পরিচিত ওই ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরেই হাসপাতালের অন্য কর্মীর অবর্তমানে কাজ করে চলেছেন । সবাই সব কিছুই জানে । হাসপাতালের নিরাপত্তা রক্ষীরাও সব জেনে শুনে চুপ । সদর হাসপাতালের সুপার গয়ারাম নস্কর বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে তিনি ব্যবস্থা নেবেন । হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান বিজয় চন্দ্র বর্মনও বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ৷