জলপাইগুড়ি, 15 জুলাই : ফের বিতর্কে SJDA (শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি উন্নয়ন পর্ষদ) । এবার SJDA-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ওয়ার্ক অর্ডারে থাকা রড দিয়ে কলেজ বিল্ডিং নির্মাণের কাজ না করে নিম্নমানের রড দিয়ে কাজ করা হচ্ছিল । টেন্ডার থেকে শুরু করে দপ্তরের রড সরবরাহ প্রতিটি ধাপেই পূর্ত দপ্তরের নির্দিষ্ট নিয়মের বাইরে গিয়ে কাজ করা হয়েছে । জলপাইগুড়ির আনন্দচন্দ্র কলেজ অফ কর্মাসের ঘটনা । যদিও SJDA-এর এগজ়িকিউটিভ ইঞ্জিনিয়রের দাবি, গোডাউন থেকে ভুল করে ওই নিম্নমানের রড চলে গিয়েছিল । কিন্তু এবিষয়ে গতকাল ছাত্র-ছাত্রীরা থানায় অভিযোগ জানানোর পরই SJDA-এর পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে দিয়ে ওই নিম্নমানের রড আজ তুলে নেওয়া হয় ।
গতকাল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা অভিযোগ করেন, নতুন বিল্ডিং নির্মাণের জন্য যে কম্পানির রড ব্যবহার করা হচ্ছে তার গুণগত মান খারাপ । তাছাড়া পূর্ত দপ্তরের তালিকাতেও নাম নেই ওই কম্পানির । তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে আজ খোঁজ নিতে গিয়ে জানা গেছে কাজের বরাত পেয়েছিল জলপাইগুড়ি শহরের একটি ঠিকাদারি সংস্থা । সংস্থার পক্ষ থেকে আদিত্য সিতানি বলেন, "আমাদের SJDA থেকে যে রড সাপ্লাই দিয়েছিল সেই রড দিয়েই আমরা বিল্ডিং নির্মাণের কাজ করছিলাম । এখন SJDA-এর পক্ষ থেকে বলা হল রড তুলে নিতে । আমরা তুলে নিচ্ছি । আমাদের যেমনটা বলা হচ্ছে আমরা তেমনটাই করছি । আমাদের কোনও দোষ নেই ।"
আনন্দ চন্দ্র কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ সিদ্ধার্থ সরকার জানান, জি প্লাস ফোর বিল্ডিং তৈরির ক্ষেত্রে রড ব্যবহারের ক্ষেত্রে পূর্ত দপ্তরের নির্দিষ্ট নির্দেশিকা রয়েছে । যা মানা হয়নি । ওয়ার্ক ওর্ডারে নেই কিন্তু নিম্নমানের রড দিয়ে কাজ করা হচ্ছিল । কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের নজরে আসে বিষয়টি । এরপর তিনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ জানান । ছাত্ররা থানায় অভিযোগ জানায় । তিনি বলেন, "আমরা ঠিকমতো কাজ চাই । সিডিউলে থাকা রড দিয়েই কাজ করা হোক । নিম্নমানের রড দিয়ে কাজ করলে বিল্ডিং ভেঙে পরার আশঙ্কা থেকে যাবে । তাই চাই সংশ্লিষ্ট দপ্তর ঠিকভাবে কাজ করুক ।"