জলপাইগুড়ি, 27 সেপ্টেম্বর : বাবার প্রভাব খাটিয়ে নিয়ম বহির্ভূতভাবে বেতন নেওয়ার অভিযোগ উঠল এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ৷ তাঁর নাম ডাঃ সৌত্রিক রায় ৷ অভিযোগ, তিনি এমডি পড়ার সময়ও বেতন পেয়েছেন ৷ যা নিয়ম বহির্ভূত ৷ তাঁর বাবা ডাঃ সুশান্তকুমার রায় ৷ বাবার প্রভাব খাটিয়েই সৌত্রিক রায় এই কাজ করেছেন বলে অভিযোগ উঠছে ৷
এমনকী, এই ঘটনায় তদন্তও শুরু হয়েছিল ৷ কিন্তু মাঝপথে তদন্ত বন্ধ হয়ে যায় বলে অভিযোগ ৷ তদন্ত করার জন্য এক আধিকারিককে বদলিও করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে ৷ এই পরিস্থিতি এই নিয়ে নতুন করে তদন্ত হোক, এমনটাই চাইছেন অনেকে ৷ নতুন করে তদন্ত শুরুর আশ্বাসও দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর ৷ তবে এই নিয়ে ডাঃ সৌত্রিক রায়ের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি ৷
আরও পড়ুন :North Bengal OSD: উত্তরবঙ্গের ওএসডি সুশান্ত রায়ের বিরুদ্ধে চিকিৎসকদের উপর জুলুমের অভিযোগ
জলপাইগুড়ির সমাজসেবী সংগঠন গ্রিন জলপাইগুড়ির সম্পাদক অঙ্কুর দাসের অভিযোগ, সৌত্রিক রায় এমডি পড়ার সুযোগ পান 2018 সালে । কিন্তু অবৈধভাবে তিনি পড়া চলাকালীন 11 মাসের বেতন নিয়েছেন, যা তিনি কোনও ভাবেই পেতে পারেন না । কারণ, তিনি একজন অস্থায়ী ডাক্তার । স্থায়ী ডাক্তার হলে সরকার যদি তাঁকে উচ্চশিক্ষার জন্য পাঠাত, তাহলে তিনি মাইনে পেতে পারতেন । কিন্তু তিনি নিজের ইচ্ছায় এমডি পড়তে যান । আর সেই সময় 11 মাসের মাইনেও তিনি তুলেছেন ।
যখন সৌত্রিক রায়ের বিরুদ্ধে প্রথমবার এই অভিযোগ সামনে এসেছিল, তখন জলপাইগুড়ির মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ছিলেন ডাঃ জগন্নাথ রায় ৷ জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, তিনি এই নিয়ে শোকজ করেন হাসপাতাল সুপারকে ৷ তাছাড়া একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে তিনি এই অভিযোগ করেন ৷
আরও পড়ুন :OSD Controversy : কোন যোগ্যতায় উত্তরবঙ্গের জনস্বাস্থ্য বিভাগের ওএসডি সুশান্ত রায়, প্রশ্ন বিরোধীদের
সুপারকে শোকজ করার চিঠিতে (ডিএইচএফডাব্লুএস/2097/19 মেমো নং চিঠিতে ২৩/১২/২০১৯) তৎকালীন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক লেখেন, 2013 সালের 5 ডিসেম্বর জলপাইগুড়ি জেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সমিতির অধীনে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের থ্যালাসেমিয়া কন্ট্রোল ইউনিটের চুক্তিভিত্তিক চিকিৎসক হিসেবে যোগ দেন ডাঃ সৌত্রিক রায় । এরই মাঝে তিনি 2018 সালের 25 মে তিনি বায়োকেমিস্ট্রিতে এমডি পড়ার সুযোগ পান উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ৷ অথচ তিনি 2019 সালের 12 এপ্রিল পর্যন্ত বেতন পেলেন কীভাবে ?
তদন্ত চলাকালীন বদলি হয়ে যান ডাঃ জগন্নাথ সরকার ৷ বিষয়টিকে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে রুটিন হিসেবে দেখানো হয় ৷ কিন্তু অভিযোগ ওঠে যে, ডাঃ সুশান্ত রায়ের ছেলের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করতেই তাঁকে বদলি করা হয় ৷ কারণ, ডাঃ সুশান্তকুমার রায় অত্যন্ত প্রভাবশালী ৷ সেই প্রভাব খাটিয়েই তিনি ছেলের বিরুদ্ধে তদন্ত থামিয়ে দেন বলে অভিযোগ ৷