জলপাইগুড়ি, 24 জুন : মিশন 2021 ৷ লক্ষ্য আগামী বছর ৷ তবে, নতুন আঙ্গিকে পর্যটক-বরণে এখনই প্রস্তুতি পর্যটন দপ্তর । লকডাউনে থমকে থাকার পর ব্যবসা চাঙ্গা করতে নয়া পরিকল্পনা নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরাও । তবু, কোরোনা-আতঙ্ক কাটিয়ে, সংক্রমণের আশঙ্কা উড়িয়ে আদৌ কি পর্যটক ফিরবে সবুজ পাহাড়, নদী, মেঘ, শীত আর কুয়াশার দেশে ? সরকারি দপ্তর ও ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছে, দুশ্চিন্তা দূর করতে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে ৷ স্যানিটাইজেশনে যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ৷
ডুয়ার্স ট্যুরিজ়ম ডেভেলপমেন্ট ফোরামের তথ্য অনুযায়ী, ডুয়ার্সে পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত 72 হাজার মানুষ । পরোক্ষভাবে 86 হাজার মানুষের রুটিরুজি এই ব্যবসা । লকডাউনে তাঁদের অনেকেই কর্মহীন হয়ে পড়েছেন । গত কয়েকমাসে ক্ষতি হয়েছে প্রায় 720 কোটি টাকা ।
ফোরামের সম্পাদক দিব্যেন্দু দেব জানান, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার মিলিয়ে 274 টি রিসর্ট রয়েছে । ব্যবসা থমকে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে রিসর্টগুলির সঙ্গে জড়িত গাড়ির চালক ও মালিক, রিসর্ট ও হোটেলের কর্মী, গাইডরা ।
সমস্যা তীব্র হওয়ায় ফোরামের তরফে কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্যের পর্যটন দপ্তরের কাছে আর্থিক প্যাকেজ দাবি করা হয়েছে বলেও জানান দিব্যেন্দুবাবু । কিন্তু, এরই মধ্যে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টাও শুরু হয়েছে ৷ ডুয়ার্স ট্যুরিজ়ম ডেভেলপমেন্ট ফোরামের মতো 14 টি সংগঠন একজোট হয়ে নতুন করে চলার রূপরেখা তৈরি করেছে । যার প্রথম শর্ত, পর্যটকদের মন থেকে আতঙ্ক দূর করা ৷ সেই কারণেই কড়া স্বাস্থ্যবিধি পালনের ব্যবস্থা ৷
এদিকে পর্যটন দপ্তরের অতিথিশালা তথা পর্যটক আবাসে পর্যটকরা এলে কী কী করণীয়, সেই নিয়মাবলি জেলাশাসকদের কাছে পাঠিয়েছে দপ্তর ৷ নিয়ম হয়েছে, অতিথিশালায় পর্যটক এলেই PPE কিট পরা কর্মী প্রথমে গাড়ি স্যানিটাইজ করবে । এরপর লাগেজ স্যানিটাইজ করা হবে ৷ একদিকে যেমন পর্যটকদের নিরাপত্তা দিকটি দেখা হচ্ছে, তেমনি অতিথিশালার কর্মীদের সুরক্ষাতেও প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে । কোরোনা আবহে অতিথিদের কীভাবে দেখভাল করা হবে সেই বিষয়ে কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করছে রিসর্ট ব্যবসায়ীরা ৷ এক্ষেত্রে পর্যটন দপ্তরের পরামর্শ চাইছে তারা ৷