জলপাইগুড়ি, 10 জানুয়ারি : শিশু পাচার নিয়ে 2016 সালে খবরের শিরোনামে আসে জলপাইগুড়ি ৷ বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা দ্বারা পরিচালিত বিমলা শিশু গৃহের বিরুদ্ধে ওঠে পাচারের অভিযোগ ৷ তারপরই জলপাইগুড়িতে বন্ধ হয়ে যায় সরকারি দত্তক সংস্থা (jalpaiguri adoption agency) ৷ সেই থেকে দীর্ঘ প্রায় সাড়ে চার বছর পর সোমবার জলপাইগুড়িতে সরকারিভাবে চালু হল স্পেশালাইজড অ্যাডপশন এজেন্সি (SAA) ।
জলপাইগুড়ি শহরের কোরক হোমে ভার্চুয়ালি এই সরকারি দত্তক সংস্থার উদ্বোধন করেন নারী ও শিশুকল্যাণ, সমাজ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী শশী পাঁজা । জলপাইগুড়ির পাশাপাশি এদিন ভার্চুয়ালি আলিপুরদুয়ার, পুরুলিয়া, বর্ধমানেও অ্যাডপশন এজেন্সির উদ্বোধন করেন তিনি । ভার্চুয়ালি সরকারি দত্তক সংস্থার এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কোরক হোমে উপস্থিত ছিলেন জলপাইগুড়ির অতিরিক্ত জেলাশাসক তেজস্বী রানা, চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির চেয়ারপার্সন বেবী উপাধ্যায়, ভারপ্রাপ্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ জ্যোতিষ চন্দ্র দাস ও কোরক হোমের সুপার দেবব্রত দেবনাথ প্রমুখ ।
আরও পড়ুন :"তুমি এভাবে একজনকে নতুন জীবন দিয়েছ", দত্তক নিয়ে রচনায় লিখল সুস্মিতার মেয়ে
সরকারি দত্তক সংস্থার আড়ালে জলপাইগুড়িতে শিশু পাচারকান্ডের ঘটনা ঘটে 2016 সালে । বেসরকারি সরকারি দত্তক সংস্থা বিমলা শিশু গৃহের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পরেই গ্রেফতার হন মালিক চন্দনা চক্রবর্তী-সহ চাইল্ড প্রোটেকশন অফিসার ও বেশ কয়েকজন । এরপরেই বন্ধ করে দেওয়া হয় ওই সরকারি দত্তক সংস্থা ।
জলপাইগুড়িতে সরকারি দত্তক সংস্থায় শিশুদের থাকার ঘর তখন থেকেই জলপাইগুড়িতে কোনও সরকারি দত্তক সংস্থা ছিল না । ফলে বিপাকে পরে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটি । জলপাইগুড়ির শিশুদের কোচবিহারের অ্যাডপশন এজেন্সিতে পাঠানো হত । তবে সোমবার জলপাইগুড়িতে সরকারি দত্তক সংস্থা চালু হয়ে যাবার ফলে শিশুদের এখানেই রাখা যাবে । আপাতত 20টি শয্যাবিশিষ্ট এই অ্যাডপশন এজেন্সিতে সব ধরনের সুবিধা থাকছে বলে জানা গিয়েছে ৷
জলপাইগুড়িতে সরকারিভাবে চালু হল শিশুদের দত্তক সংস্থা আরও পড়ুন :বাঁকুড়া থেকে শিশুকন্যা দত্তক নিচ্ছেন স্পেনের দম্পতি
ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে জলপাইগুড়ি চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির চেয়ারপার্সন বেবী উপাধ্যায় মন্ত্রী শশী পাঁজাকে জানান, জলপাইগুড়িতে সাড়ে চার বছর ধরে কোনও সরকারি দত্তক সংস্থা ছিল না । এই এজেন্সি আমাদের খুব দরকার ছিল । জলপাইগুড়িতে কোনও শিশু পাওয়া গেলে আমাদের সরকারি দত্তক সংস্থা না থাকার ফলে কোচবিহারে পাঠাতে হত । কিন্তু এবার থেকে আর তা করতে হবে না ৷
এই বিষয়ে অতিরিক্ত জেলাশাসক তেজস্বী রানা জানান, 20টি শয্যায় শিশুদের রাখার ব্যবস্থা রয়েছে । নার্সিং কর্মীর জন্য বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে । খুব তাড়াতাড়ি নার্সও পেয়ে যাব আমরা ।
আরও পড়ুন :দত্তক নেওয়া মেয়ের প্রথম হেয়ারকাট, আবেগপ্রবণ মন্দিরা