জলপাইগুড়ি, 28 এপ্রিল: নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলা থেকে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়কে সরানোর নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট ৷ সেই নির্দেশ নিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বক্তব্য, ‘‘আমি আগেও বলেছি, হাইকোর্টের যেকোনও রায় বা সুপ্রিম কোর্টের যেকোনও রায় আমাদের কাছে শিরোধার্য ৷ এবং আমরা সম্পূর্ণ আস্থা, ভরসা, বিশ্বাস ভারতবর্ষের বিচারব্যবস্থার উপর রাখি ৷’’ একই সঙ্গে এই বিষয়ে তাঁর সংযোজন, ‘‘যেহেতু বিচারের ব্যপার আমি বলব না । যদিও এই মামলার আবেদনকারী আমি নিজে ছিলাম ৷’’
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, মাস কয়েক আগে নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হন তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ ৷ সম্প্রতি তিনি অভিযোগ করেন যে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট তাঁকে দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নাম বলানোর জন্য চাপ দিচ্ছে ৷ তাৎপর্যপূর্ণভাবে কুন্তল দাবি করার দিন দুই আগেই একই ধরনের বক্তব্য শোনা গিয়েছিল অভিষেকের মুখে ৷ তিনি অভিযোগ করেছিলেন যে তাঁর নাম বলানোর জন্য কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি চাপ দেয় গ্রেফতার হওয়া তৃণমূল নেতাদের উপর ৷
বিষয়টি ওঠে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের এজলাসে ৷ তিনি এই বিষয়ে কুন্তল ও অভিষেককে মুখোমুখি বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন ৷ তাঁর সেই পর্যবেক্ষণের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ সেই পর্যবেক্ষণের উপর আগেই স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট ৷
কিন্তু শুনানিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎকারের বিষয়টি উঠে আসে ৷ এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে হলফনামা চান দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ৷ সেই হলফনামা পাওয়ার পর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায়কে নিয়োগ দুর্নীতি মামলা থেকে সরানোর নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি ৷ সেই নিয়েই জলপাইগুড়িতে প্রতিক্রিয়া দেন অভিষেক ৷ বলেন, ‘‘দেশের সর্বোচ্চ আদালত, মহামান্য প্রধান বিচারপতি যে রায় দিয়েছেন তাকে স্বাগত জানাচ্ছি । আর আশা করি মানুষ তার নায্য বিচার পাবে ৷’’