পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

মধ্যরাতে পুলিশ দিয়ে তুলে আনা হল কোরোনা সন্দেহে থাকা যুবককে

জলপাইগুড়ির বামন পাড়ার বাসিন্দা ওই যুবক । চিন থেকে বাংলাদেশ হয়ে জলপাইগুড়িতে ফিরেছিলেন তিনি ৷ হাসপালারে ডাক্তার তাঁকে আইসোলেশনে বিভাগে ভরতি হওয়ার পরামর্শ দিলেও সে পালিয়ে যায়৷

corona police at midnight
জলপাইগুড়ির যুবককে

By

Published : Mar 20, 2020, 12:17 PM IST

Updated : Mar 20, 2020, 1:02 PM IST

জলপাইগুড়ি, 20 মার্চ: চিন থেকে আসা কোরোনার উপসর্গ থাকা এক যুবককে বৃহস্পতিবার সারা রাত হন্যে হয়ে খুঁজল জলপাইগুড়ি পুলিশ ও জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর । যুবককে হাসপাতালে আনতে স্থানীয় থানার দ্বারস্থ হন হাসপাতাল সুপার । সকালে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ওই যুবক ডাক্তার দেখাতে এলে তাঁকে আইসোলেশন বিভাগে ভরতি হতে বলা হয় ৷ এরপর থেকেই ওই যুবককে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না ৷ অবশেষে হাসপাতাল সুপার গভীর রাতে পুলিশ দিয়ে তুলে নিয়ে আসলেন ওই যুবক ও তাঁর বাবা-মাকে ৷ তিনজনকেই আইসোলেশন বিভাগে রাখা হয়েছে ।

জলপাইগুড়ির যুবককে কোরোনা সন্দেহে মধ্যরাতে তুলে আনল পুলিশ৷

জলপাইগুড়ির বামন পাড়ার বাসিন্দা ওই যুবক । চিন থেকে বাংলাদেশ হয়ে জলপাইগুড়িতে ফিরেছিলেন তিনি ৷ এক্সপার্ট-ইমপোর্টের ব্যবসা করেন । কাশি থাকায় গতকাল সকালে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে আসেন ৷ সদর হাসপাতালের অভিষেক দে কোরোনা সংক্রমণের বেশ কিছু উপসর্গ দেখে যুবককে আইসোলেশনে বিভাগে ভরতি হওয়ার পরামর্শ দেন ৷ কিন্তু সে কথা না শুনে যুবক পালিয়ে যান । এই খবর জানাজানি হতেই শহরজুড়ে আতঙ্ক ছড়ায় ৷ এরপরই টনক নড়ে জেলা প্রশাসনেরও । গভীর রাতে সদর হাসপাতালের সুপার গয়ারাম নস্কর নিজে অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে থানায় আসেন । পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ওই যুবক ও তাঁর বাবা এবং মা'কে বামন পাড়ার বাড়ি থেকে তুলে এনে আইসোলেশন বিভাগে ভরতি করে দেন ।

কোরোনা উপসর্গ থাকায় ওই যুবককে কোনও অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার নিয়ে আসতে রাজি না হওয়াতেই সুপার নিজে মধ্যরাতে বেরোতে বের হন । হাসপাতাল সুপার গয়ারাম নস্কর বলেন, "ছেলেটিকে আমরা আইসোলেশনে রেখে তাঁর টেস্ট করব । যদি দেখা যায় তাঁর কোরোনা নেই তাহলে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে ।"

Last Updated : Mar 20, 2020, 1:02 PM IST

ABOUT THE AUTHOR

...view details