জলপাইগুড়ি, 31 মে : হাসপাতালের সামনে হঠাৎ বাইক নিয়ে হাজির এক যুবক । বাইকটাকে কোনওমতে রেখেই কাউকে কিছু না জানিয়েই সটান ঢুকে পড়েন হাসপাতালে । তারপর স্বাস্থ্যকর্মীদের বলেন, "আমি কোরোনায় আক্রান্ত । আমায় ভরতি নিন ।" হঠাৎ এক যুবকের এইরকম কথায় প্রথমে খানিকটা চমকে যান হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মীরা । তবে, পরে স্বাস্থ্যবিভাগের তরফে নিশ্চিত হওয়ার পর ওই যুবককে হাসপাতালে ভরতি নেওয়া হয় । ওই যুবক জানান, অ্যাম্বুলেন্স সময়মতো না আসায় নিজেই বাইক চালিয়ে 65 কিলোমিটার দূরে হাসপাতালে চলে আসেন তিনি ।
ওই যুবক উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজের প্যারা মেডিকেলের ছাত্র । নাগরাকাটায় বাড়ি । শুক্রবার নাগরাকাটারই স্বাস্থ্য কেন্দ্র চত্বরে তিনি যান । সেইসময় ওখানকার স্বাস্থ্যকর্মীদের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছিল । প্যারামেডিকেলের ছাত্র হওয়ায় স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অনেকেই তাঁকে চেনেন । ফলে তাঁকেও বলা হয়, লালা রসের নমুনা দিতে । তিনিও নমুনা দেন । শুক্রবারই তাঁর রিপোর্ট আসে । তা থেকেই নিজের কোরোনা আক্রান্তের কথা জানতে পারেন তিনি ।
নাগরাকাটার শুল্কাপাড়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রের তরফে তাঁকে অ্যাম্বুলেন্সে করে পাঠানোর কথা জানানো হয় । তবে, সেই অ্যাম্বুলেন্স আসতে দেরি করায় আর অপেক্ষা করেননি ওই যুবক । নিজের বাইকে করেই কোরোনা চিকিৎসার জন্য জলপাইগুড়ির বিশ্ববাংলা ক্রীড়াঙ্গনে তৈরি হাসপাতালে গিয়ে হাজির হন । তারপর সেখানকার কর্মীদের জানান, তিনি কোরোনায় আক্রান্ত । তাই যেন তাঁকে ভরতি নেওয়া হয় ।