জলপাইগুড়ি, 14 সেপ্টেম্বর : গত কয়েকদিনে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি ছিল মোট 130 জন শিশু ৷ মঙ্গলবার তাদের মধ্যেই একটি শিশু মৃত্যু হয়েছে ৷ মৃত শিশুকন্যার নাম কাবেরী রায়, বয়স ছয় ৷ বাড়ি কোচবিহারের মেখলিগঞ্জে ৷ পাশাপাশি জ্বরে আক্রান্ত আরও এক শিশুকন্যাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় ৷ আমগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের বেতগাড়া নিউ কলোনির ওই শিশুকন্যার নাম মৃত্তিকা রায় ৷ বয়স মাত্র 4 মাস ৷ এদিকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে মৃত্যু হয়েছে আরও এক শিশুর ৷ তার জ্বর না হলেও সে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিল বলে জানা গিয়েছে ৷
জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, কাবেরীকে গুরুতর অবস্থায় গতকাল অর্থাৎ সোমবার রাতে হাসপাতালের নিয়ে আসে তার পরিবার । মঙ্গলবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় ৷ জ্বর ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ছিল । চিকিৎসকদের দাবি, তার আগে থেকেই এই সমস্যা ছিল ৷ এমন অবস্থায় তাকে আনা হয়েছে যে তাঁরা তার চিকিৎসা করার ঠিক মতো সুযোগই পাননি ৷
পাশাপাশি হাসপাতালে আনার পথে মৃত্যু হয়েছে মৃত্তিকা রায়ের ৷ বয়স মাত্র চার মাস । বাড়ি আমগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের বেতগাড়া নিউ কলোনিতে । যদিও স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে তার মৃত্যুর কারণ জানানো হয়নি ৷ ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালের বিএসওএইচ লাকি দেওয়ান জানান, গতকাল রাতে শিশুকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল আমগুড়ি থেকে । তবে কী কারণে মৃত্যু তা এখনই বলা যাবে না ৷ খতিয়ে দেখা হচ্ছে । এদিকে আমগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান দিলীপ রায় জানান, নিউ কলোনির মৃত্তিকার বেশ কয়েকদিন ধরেই সর্দি-জ্বর ছিল । গতকাল রাতে ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়ায় সময় বাচ্চাটি মারা যায় ।
এই মুহূর্তে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের শিশু বিভাগে 102 জন ভর্তি রয়েছে ৷ 29 জন শিশুকে সুস্থ করে ছুটি দেওয়া হয়েছে ৷ দুই শিশুকন্যার মৃত্যুর পাশাপাশি জানা গিয়েছে, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও তিন শিশুর শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়েছে । পাশাপাশি এখান থেকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে রেফার করা হয়েছে চার শিশুকে ৷ গতকাল উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের একটি দল এসেছেন জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে ৷ এখানে চিকিৎসাধীন শিশুদের করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে । শিশুদের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হচ্ছে কলকাতায় । ডেঙ্গি, চিকনগুনিয়া ও জাপানি এনসেফেলাটিসের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না স্বাস্থ্য বিভাগ ৷