জলপাইগুড়ি, 3 মে: মোবাইলে অশ্লীল ভিডিয়ো দেখছিলেন বছরের ঊনিশের কিশোর ৷ নাতির সেই কীর্তি দেখে ফেলেন প্রৌঢ়া দিদিমা ৷ বিষয়টি বাবা-মাকে জানিয়ে দেবেন বলে নাতিকে হুঁশিয়ারি দেন তিনি ৷ যার পরিণতি হল মারাত্মক ৷ দিদিমাকে হাত-পা বেঁধে খুনের অভিযোগ উঠল সম্রাট দাসের নামে ওই তরুণের বিরুদ্ধে ৷ মৃতার নাম ঝরনা মহন্ত (55) ৷ রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি ব্লকের দোমহনির পুরনো বাজার এলাকায় ৷ প্রৌঢ়ার সঙ্গে গত দু’দিন যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না ৷ তিনি বাড়িতে একাই থাকতেন ৷ সন্দেহ হওয়ায় তাঁর মেয়েরা পুলিশে খবর দেন ৷ পুলিশ মঙ্গলবার রাতে তাঁর দেহ উদ্ধার করেছে ৷ কিশোরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, ঝরনা মহন্ত মাঝেমধ্যে রান্নার কাজ করতেন ৷ সেই সঙ্গে কীর্তনের দলের সঙ্গেও ঘুরতেন ৷ তাঁর তিন মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে ৷ তাঁরাই মায়ের দেখাশোনা করতেন ৷ গত রবিবার ঝরনাদেবীর নাতি সম্রাট দাস দিদার সঙ্গে দেখা করতে যান ৷ সেখানে গিয়ে মোবাইলে পর্নোগ্রাফি দেখছিলেন তিনি ৷ ঝরনা মহন্ত সেটি দেখে ফেলেন, বিষয়টি তিনি তাঁর মেয়ে এবং জামাইকে জানাবেন বলে স্থির করেন ৷ সম্রাটকেও সে কথা জানানোয় দিদার উপর রেগে যান কিশোর ৷ অভিযোগ, সেই রাগেই ঝরনাদেবীকে হাত-পা বেঁধে খুন করে সম্রাট ৷