জলপাইগুড়ি, 5 অক্টোবর: সিকিমের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ফলে এখনও নিখোঁজ 22 জন সেনা জওয়ান । এখনও পর্যন্ত জলপাইগুড়ি জেলার তিস্তা নদী থেকে 17টি মৃতদেহ উদ্ধার হল । সেনাবাহিনী মৃতদেহগুলো শনাক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে । সেই সঙ্গে তিস্তা নদী থেকে উদ্ধার হয়েছে সেনাবাহিনীর ব্যবহৃত মর্টার-সহ অন্যান্য যুদ্ধাস্ত্র, গাড়ির যন্ত্রাংশ । এনডিআরএফ, সিভিল ডিফেন্স ও পুলিশ কর্মীরা তিস্তা নদী থেকে উদ্ধারকার্যে নেমেছে । মনে করা হচ্ছে সবক’টি মৃতদেহ সিকিম থেকে ভেসে এসেছে ।
বুধবার জলপাইগুড়ির টাকামারিতে 3টি অজ্ঞাতপরিচয় মৃতদেহ উদ্ধার হয় । বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ময়নাগুড়িতে 8টি, মেখলিগঞ্জে 2টি, সদর ব্লকের নাথুয়ার চরে 1টি, তিস্তার ছয় নম্বর স্পারে 1টি, নন্দনপুর বোয়ালমারির বাহির চরে 1টি, গাজোলডোবাতে 1টি, ক্রান্তিতে 2টি, মালবাজারে 1টি মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে । মাঝ তিস্তার চরে আরও মৃতদেহ আছে বলে দাবি স্থানীয়দের । এদিকে সকালে তিস্তার বিবেকানন্দ পল্লি এলাকায় সেনাবাহিনীর পোশাক উদ্ধার হয় । বড় বড় ব্যাগ উদ্ধার হয় । তিস্তা নদী থেকে যুদ্ধে ব্যবহৃত মেশিন ও গোলা উদ্ধার হয়েছে ।
বুধবার থেকেই সেনাবাহিনীর ত্রিশক্তি কর্পসের সেনা আধিকারিকরা জলপাইগুড়ি জেলার সেনা জওয়ানদের উদ্ধারের জন্য সার্চ অপারেশন শুরু করে । রাত থেকে তিস্তার জল নামতে শুরু করায় একে একে মৃতদেহ ভেসে উঠছে । ব্যাঙডুবির সেনা জওয়ানরা সকাল থেকে সেনা জওয়ানদের মৃতদেহ কি না, তা খতিয়ে দেখতে মালবাজার, ময়নাগুড়ি, সদর ব্লক, ক্রান্তি, মেখলিগঞ্জে পৌছে যান । মৃতদেহগুলোর মধ্যে নিঁখোজ সেনা জওয়ান আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছেন সেনা আধিকারিকরা ।