জলপাইগুড়ি, 23 জুলাই :পরীক্ষায় না বসেই ফেল ! এমন ঘটনায় তাজ্জব জলপাইগুড়ির কদমতলা বালিকা বিদ্যালয়ের 14 জন ছাত্রী ৷ এ বছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল তাদের ৷ করোনা আবহে বাতিল হয়ে যায় পরীক্ষা ৷ এরপর পর্ষদের ঘোষিত নিয়ম মেনেই করা হয় মূল্যায়ন ৷ তাতে দেখা যাচ্ছে, স্কুলের মোট 171 জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে অকৃতকার্য হয়েছে 14 জন ৷ ঘটনায় ক্ষুব্ধ ওই ছাত্রীরা ৷ তাদের সাফ কথা, এই ফল তারা মানবে না ৷ বদলে তাদের প্রত্য়েককে পরীক্ষায় বসতে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে উচ্চমাধ্যমিকে ফেল করা ওই ছাত্রীরা ৷ শুক্রবার এই দাবিকে সামনে রেখেই প্রধান শিক্ষিকাকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় তারা ৷
আরও পড়ুন :ICSE, ISC Board Results : শনিবার দুপুর তিনটেয় আইসিএসই ও আইএসসি-র দশম ও দ্বাদশের ফল ঘোষণা
এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় স্কুল চত্বরে ৷ বিক্ষোভরত ছাত্রীদের অভিযোগ, স্কুলের ভুলেই তাদের গায়ে ফেল-এর তকমা সেঁটে গিয়েছে ৷ সেটা কীভাবে ? ওই ছাত্রীদের দাবি, যে অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের কথা বলা হচ্ছে, সেখানেই স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের কম নম্বর দিয়েছে ৷ এমনকী, স্কুলের তরফে তাদের প্রজেক্ট রিপোর্ট জমা না দেওয়ারও অভিযোগ করেছে ওই 14 জন ছাত্রী ৷ পাশাপাশি, তাদের আবেদন, পরীক্ষায় বসার বন্দোবস্ত করা হোক ৷ তাতে যে যেমন ফল করবে, তাই মেনে নেবে তারা ৷ কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ এক্ষেত্রেও কোনও সহযোগিতা করছে না বলে অভিযোগ ৷ বদলে ছাত্রীদের শিলিগুড়িতে গিয়ে পর্ষদের দফতরে যোগাযোগ করতে বলা হচ্ছে ৷
আরও পড়ুন :Amit Malviya : উচ্চমাধ্যমিকে প্রথমের ধর্ম নিয়ে মাতামাতি, মমতা সরকারের বিরুদ্ধে ফের ‘তোষণ’ তোপ মালব্যর
তবে কদমতলা বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রীতা সেনগুপ্ত স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ৷ এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘আমরা পর্ষদের নিয়ম মেনেই সবাইকে নম্বর দিয়েছি ৷ এরপর পর্ষদ কী করেছে জানি না ৷ কোনও ছাত্রী পরীক্ষায় বসতে চাইলে পর্ষদের নিয়ম মেনেই আমরা তার ব্যবস্থা করে দেব ৷’’