হাওড়া, 3 সেপ্টেম্বর : হাওড়ার পার্বতীপুর শেখপাড়া ৷ এই গ্রামের 90 শতাংশ বাসিন্দাই জড়িত পরচুলা শিল্পের সঙ্গে ৷ তাই দুর্গাপুজো এলেই এই গ্রামে দেখা যায় চূড়ান্ত ব্যস্ততা । বছরের এই সময় যা রোজগার হয় তা দিয়েই সারা বছর সংসার চালান তাঁরা ৷ কিন্তু, কোরোনার জেরে এবছর সেভাবে অর্ডার মেলেনি ৷ তাই সারা বছর কীভাবে সংসার চলবে তা নিয়ে চিন্তায় প্রায় হাজার খানেক শিল্পী ৷
পাটকে ঝাড়াই করে রং মেশানো গরম জলে ফোটানো হয় ৷ তারপর তা রোদে শোকানো হয় ৷ এরপরই তৈরি হয় পরচুলা ৷ বংশ পরম্পরায় এই কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে এই গ্রামের প্রায় হাজার খানেক পরিবার ৷ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বাজারেও বারো মাসে তেরো পার্বণের জন্য তাঁদের মুখের হাসি কখনও হারিয়ে যায়নি ৷ কিন্তু কোরোনা সংক্রমণের জেরে এক লহমায় বদলে গিয়েছে সেই ছবি ।
কী বলছেন ব্যবসায়ীরা, দেখুন ভিডিয়ো গত বছর দুর্গামূর্তির জন্য প্রায় 8 থেকে 10 লাখ টাকার পরচুলা সরবরাহ করেছেন তাঁরা ৷ শুধু এরাজ্যে নয়, এই পরচুলা পাড়ি দিয়েছে ভিনরাজ্যেও ৷ ঝাড়খণ্ড, বিহার সহ আরও নানা রাজ্যে তা সরবরাহ করা হয়েছে ৷ কিন্তু এবছর এখনও পর্যন্ত সেভাবে অর্ডার মেলেনি ৷ বড় ব্যবসায়ীরা এবছর এখনও পর্যন্ত 1 থেকে 2 লাখ টাকার অর্ডার পেয়েছেন ৷ ছোটো ব্যবসায়ীরা 50 হাজার টাকার বেশি অর্ডার পাননি ৷ অর্ডার মিললেও কীভাবে তা সরবরাহ করবেন তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন তাঁরা । কারণ অনেক জায়গাতেই যানচলাচল বন্ধ ৷ ইতিমধ্যে বন্ধ হয়ে গিয়েছে একাধিক কারখানা ৷ দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকতে থাকতে পচন ধরেছে পাটেও ৷
স্থানীয় বড়গাছিয়া 1 নম্বর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান অবশ্য এই কাজের সঙ্গে যুক্তদের পাশে দাঁড়ানোর ব্যাপারে উপযুক্ত পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিয়েছেন ।