হাওড়া, 24 সেপ্টেম্বর: তৃণমূল বিধায়কের ফেসবুক পোস্ট রাজনৈতিক জল্পনা । জোরালো হচ্ছে বিধায়কের দল ছাড়ার জল্পনা । হাওড়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেস গ্রামীণের চেয়ারম্যান ও উদয়নারায়ণপুরের তিনবারের বিধায়ক সমীর পাঁজার ফেসবুক পোস্ট (Samir Panja facebook post) ঘিরে জল্পনা দানা বাঁধছে রাজনৈতিক মহলে ৷ এই জল্পনার কেন্দ্রে রয়েছে বিধায়কের করা একটি ফেসবুক পোস্ট ৷ মনে করা হচ্ছে এই পোস্টে রাজনীতি থেকে বিদায়ের ইঙ্গিত দিয়েছেন ওই তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA Samir Panja) ৷
শুক্রবার রাতে তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে সমীর পাঁজা লেখেন,"হ্যাঁ, আমার এই মহাননেত্রী আছেন বলেই, দলটা ছেড়ে যাইনি । কারণ কত ঝড়, ঝাপটা পেরিয়ে নানান ইতিহাসের সাক্ষী হিসেবে দাঁড়িয়ে থেকে 38টা বছর মহান নেত্রীর সঙ্গে একজন সৈনিক হিসেবে কাজ করতে করতে, এখন বড়ই বেমানান লাগছে নিজেকে । কারণ মিথ্যে নাটক করে, দল নেতৃত্বের কাছে ভালো সেজে, মেকি লিডার হতে চাই না আমি । কবেই টাটা বাই বাই করে দল ছেড়ে চলে যেতাম আমি । আমার মতো অবিভক্ত যুব কংগ্রেসের আমল থেকে যাঁরা আছে,তাঁরা আদৌ কোনও গুরুত্ব পাচ্ছে কি বর্তমানে ?"
উদয়নারায়ণপুরের তৃণমূল বিধায়কের পোস্ট ঘিরে জল্পনা আরও পড়ুন: রেল অবরোধে তুলে নেওয়ার ঘোষণা কুর্মি সমাজের
একইসঙ্গে ওই পোস্টের শেষ লাইনে উদয়নারায়ণপুরের বিধায়ক লেখেন,"তাই আর কি, আমার যাবার সময় হল, দাও বিদায় ।" অভিমানে ভরা সমীর পাঁজার এই পোস্ট সকলের নজরে পড়তেই শুরু হয়েছে জল্পনা ৷ তবে কি রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নিতে চলেছেন তিনি? এই প্রসঙ্গে রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, "সমীর পাঁজা দলের অনেক পুরনো কর্মী । সিপিএম আমলে উদয়নারায়ণপুরের মতো জায়গাতে বহু তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী খুন হয়েছেন । তখন তিনি সাহসের সঙ্গে দল করেছেন । এখন দলের সঙ্গে কোন জায়গায় একটা দূরত্ব বেড়েছে ৷ দল তার সঙ্গে কথা বলতে পারে ৷ আমিও তার সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে কথা বলব । দলের নেতৃত্বের কাছেও অনুরোধ তাঁর সঙ্গে কথা বলার জন্য ৷"
উদয়নারায়ণপুরের তৃণমূল বিধায়কের পোস্ট ঘিরে জল্পনা যদিও এই প্রসঙ্গে আর কোনও মন্তব্য করতে চাননি বিধায়ক সমীর পাঁজা (Samir Panja)। যদিও শাসকদলের পুরনো কর্মী ও বিধায়কের এহেন বক্তব্যের জন্য তৃণমূলের পরিবারতন্ত্রকেই দায়ি করেছেন বিজেপি'র রাজ্য সম্পাদক উমেশ রাই । তিনি বলেন, "যাঁরা সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য এই দলটি তৈরি করেছেন আজকে তারাই দলে গুরুত্ব হারিয়েছেন । মমতা বন্দোপাধ্যায়ের পরে অভিষেক বন্দোপাধ্যায়, এর মাঝে আর কেউ নেই । এটাই পরিবারতন্ত্র । যেটা তৃণমূল কংগ্রেসে কায়েম হয়েছে । এর আগেও দলে গুরুত্ব না পেয়ে সাঁকরাইলের প্রাক্তন বিধায়ক শীতল সর্দার, উত্তর হাওড়ার নেতা বাণী সিংহ রায় দল ছেড়েছিলেন ৷"