বালি, 30 অগাস্ট: "মমতা ব্যানার্জি, মুকুল রায় আমার নাম শুনে ঘাবড়ে যায়৷ তিড়িং করে লাফিয়ে ওঠে৷" এই ভাষাতেই প্রমোটারকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। অভিযোগ, বালি বিধানসভা এলাকায় একটি প্রমোটারি নিয়ে বিবাদে প্রমোটারকে হুমকি দেন তৃণমূল নেতা বিশ্বজয় বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ টেলিফোনে প্রমোটারকে হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ৷ ঘটনায় হাওড়া জেলা তৃণমূলে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর।
এই প্রসঙ্গে বালি বিধানসভার বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়া জানান, মহেশ সুরাখা নামে একজন প্রমোটার নিয়ম না মেনে গঙ্গার পাড়ে বহুতল নির্মাণ করছিলেন। এই বিষয়ে এলাকার মানুষ সরব হয়েছে। তবে, মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে কে কী বলেছে তা তিনি জানেন না বলে জানান বৈশালী৷ বৈশালী ডালমিয়ার কথায়, "মুখ্যমন্ত্রী আমাদের দিদির মতো। তাঁকে নিয়ে যদি কেউ এই ধরনের মন্তব্য করে থাকে তবে তা সমর্থনযোগ্য নয়।"
মমতা-মুকুল-মদনের নাম করে প্রোমাটারকে হুমকির অভিযোগ৷ বিধায়ক বেনিয়মের কথা বললেও বহুতল নির্মাণ সংস্থার কর্মী জানান, নিয়ম মেনেই কাজ হচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, বিশ্বজয় বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর লোকেরা মুখ্যমন্ত্রীর নাম করে নিজেদের ক্ষমতা জাহির করেন। যদিও অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার দাবি, গঙ্গার পাড় ঘিরে বহুতল নির্মাণ হচ্ছে, নিয়ম না মেনে। তা জানতে পেরেই তিনি ঘটনাস্থানে যান। প্রতিবাদ করেন। মুখ্যমন্ত্রী, মুকুল রায় ও মদন মিত্রর নাম তুলে হুমকি দেওয়া প্রসঙ্গে তাঁর সাফাই, তিনি বোঝাতে চেয়েছেন যেভাবে গঙ্গার পাড় ঘিরে বহুতল হচ্ছে তা দেখলে মুখ্যমন্ত্রী রেগে যাবেন।
অন্যদিকে, প্রোমোটারের দাবি, কলকাতা পোর্টট্রাস্ট, হাওড়া কর্পোরেশন, দমকল, পরিবেশ বিভাগের অনুমতি পত্র হাতে নিয়েই কাজ শুরু হয়েছে। চাইলে কাগজপত্র দেখাতেও রাজি তিনি।
অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা বলেন, "এই ধরনের কথা বলার উদ্দেশ্য ছিল না। প্রোমোটার দুর্ব্যবহার করায় বলে ফেলেছি। বলতে চেয়েছি অন্য কথা।"