হাওড়ার ঘটনা নিয়ে রাজ্যের পুলিশ ও প্রশাসনকে তোপ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর হাওড়া, 31 মার্চ: রামনবমীর মিছিল ঘিরে হাওড়ার শিবপুরে যে অশান্তি হয়েছে, তা নিয়ে শুক্রবার রাজ্যের পুলিশ ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরব হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ তাঁর অভিযোগ, গোটা ঘটনায় পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে ৷ সেই কারণেই স্থানীয় কাজিপাড়া এলাকা ছেড়ে আক্রান্তদের পালিয়ে যেতে হচ্ছে ৷
প্রসঙ্গত, রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে হাওড়ার সন্ধ্য়াবাজার এলাকায় অশান্তি ছড়ায় ৷ রণক্ষেত্রের পরিস্থিতি তৈরি হয় ৷ পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ৷ শুক্রবার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করা হয় 36 জনকে ৷ এই ঘটনার প্রেক্ষিতে সিবিআই বা এনআইএ তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বিরোধী দলনেতা ৷ তার পর তিনি হাওড়ায় যান ৷ সেখানে গিয়ে তিনি দাবি করেন, ‘‘পিএম বস্তি এলাকায় হিন্দুদের বাড়ি সব ভেঙে দিয়েছে ৷ কাশ্মীরী পণ্ডিতদের পালিয়ে আসতে হয়েছে ৷ কাজিপাড়ায় হিন্দুদের প্রাণ বাঁচাতে পালাতে হয়েছে ৷ পুলিশের সামনেই সব সম্পত্তি নষ্ট করা হয়েছে ৷’’
হাসপাতালে আহতর সঙ্গে দেখা করছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী শুভেন্দুর দাবি, পুলিশ নীরব দর্শক হয়ে আছে ৷ শীর্ষস্তরের পুলিশ আধিকারিকদের পাঠানো হলেও তাঁরাও নীরব দর্শক হয়ে রয়েছেন ৷ তিনি পরিস্থিতি সামাল দিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনেরও দাবি জানিয়েছেন ৷ কলকাতা হাইকোর্টে করা মামলাতেও তিনি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবিও তুলেছেন ৷ একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কেও নিশানা করেছেন শুভেন্দু ৷ তাঁর দাবি, সংখ্যালঘু ভোট হারানোর ভয়ে বাংলার সাধারণ মানুষের উপর এই দুর্গতি নামিয়ে এনেছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷
এদিন বিজেপির জেলা নেতৃত্বের কথা সঙ্গে কথা বলেন শুভেন্দু অধিকারী ৷ তার পর চলে যান হাওড়া হাসপাতালে ৷ সেখানে তিনি আহতদের সঙ্গে কথা বলেন ৷ তার পর তিনি হাওড়ার পুলিশ কমিশনারের সঙ্গেও দেখা করতে যান ৷ শুভেন্দুর দাবি, পুলিশ কমিশনার তাঁর সঙ্গে দেখা করতে অস্বীকার করেছেন ৷ পরে তিনি হাওড়ার পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে একটি সিডি দিয়ে আসেন ৷ শুভেন্দুর দাবি, ওই সিডিতে হাওড়ার ঘটনা নিয়ে তথ্যপ্রমাণ দিয়ে এসেছেন ৷
আরও পড়ুন:রামনবমীতে শিবপুর-ডালখোলা কাণ্ডে সিবিআই তদন্ত, হাইকোর্টে শুভেন্দু