সিবিএসসি পরীক্ষাতে বিরাট সাফল্য হাওড়ার সৌমাদিত্যর কলকাতা, 12 মে: সিবিএসসি পরীক্ষায় দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষায় ভাল ফল করেছে হাওড়া আন্দুল দুইল্যার সৌমাদিত্য চন্দ্র। শুক্রবার প্রকাশিত হয়েছে সিবিএসসি পরীক্ষার ফলাফল। গৃহ শিক্ষক ছাড়াই সর্বাধিক প্রাপ্ত নম্বরে একদম প্রথম সারিতে উঠে এসেছে সৌমাদিত্য। 500 মধ্যে 491 নম্বর পেয়েছে সে। আগামিদিনে পদার্থবিদ্যা নিয়েই এগোতে চায় সৌমাদিত্য।
এই বছরের পরীক্ষার ফলাফলে দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষায় (সিবিএসসি) নাম উজ্জ্বল করেছে হাওড়ার আন্দুল দুইল্যার সৌমাদিত্য চন্দ্র। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর 500 মধ্যে 491। যার মধ্যে সে ইংরেজিতে পেয়েছে 99 ,অংকে পেয়েছে 100, পদার্থবিদ্যায় পেয়েছে 97, রসায়নে পেয়েছে 98 এবং কম্পিউটারে তাঁর নম্বর 97। ছোট থেকেই বরাবরই মেধাবী সৌমাদিত্য। অতিমারির সময়ে সৌমাদিত্য দশম শ্রেণীর বোর্ডের পরীক্ষা দিতে পারেনি। এই বছরের সিবিএসসি-র বোর্ডের পরীক্ষায় বসে যেন সুদে-আসলে তার প্রত্যাশা পূরণ করেছে।
ইটিভি ভারত-কে সাক্ষাৎকারে সৌমাদিত্য বলেন, "এই বছর প্রত্যাশা অনুযায়ী নম্বর পেয়েছে । পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য আমার কোনও গৃহশিক্ষক না থাকলেও একটি বেসরকারি কোচিং সেন্টারের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। স্কুলের শিক্ষকের পাশাপাশি ওই কোচিং সেন্টারের শিক্ষকরা পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য যথেষ্ট সহযোগিতা করেছেন। নিজের এই সাফল্যকে মা-বাবা এবং শিক্ষকদের প্রতি উৎসর্গ তিনি পড়তে বসতেন । ভবিষ্যতের পরিকল্পনা বলতে গিয়ে তিনি জানান, ইচ্ছা আছে আইআইটিতে পদার্থবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা করার। সারাদিনের পড়াশোনার বাইরে ইংরাজি এবং বাংলা গল্পের বই পড়তে খুব পছন্দ বলেই জানান সৌমাদিত্য ।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড়ের উত্তাল সমুদ্র পেরিয়ে জারোয়াদের কোভিড টিকাকরণ, বিশ্ব নার্স পুরস্কারের দাবিদার শান্তি
পরীক্ষার ফলাফলে ছেলের সাফল্যে স্বভাবতই ভীষণ খুশি সৌমাদিত্যর মা শর্মিষ্ঠা চন্দ্র। ইটিভি ভারত-কে সৌমাদিত্যর মা শর্মিষ্ঠা চন্দ্র জানান, ছেলের আজকের এই সাফল্যতে তিনি খুব খুশি। ছেলে আলু ভাজা খেতে ভালোবাসে বলে এইদিন একটু বেশি আলু ভাজা তৈরি করেছেন। তিনি চান, আগামীদিনে ছেলে যা ভালবাসে, তাই নিয়েই পড়াশোনা করুক। এটাই তাঁর মনে প্রাণে চাওয়া । ছেলের উপরে কখনও কোনও কিছু জোর করে চাপিয়ে দিতে চায় না পরিবার। সৌমাদিত্যর বাবা উত্তরবঙ্গের চা বাগানের ম্যানেজার পোস্টে চাকরি করেন। এখন গোটা পরিবার অপেক্ষা করছেন তিনি কবে বাড়ি ফিরবেন তার জন্য। সৌমাদিত্যর বাবা বাড়িতে ফিরলেই ধুমধাম করে ছেলের এই সাফল্যকে পালন করবেন পরিবারের সকলের সঙ্গে।