বিস্ফোরণস্থলে গিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস মালিপাঁচঘড়া থানার আইসি’র মালিপাঁচঘড়া (হাওড়া), 22 মার্চ: ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল হাওড়ার মালিপাঁচঘড়া থানার ঘুসুড়ি গুহ রোড এলাকা ৷ বুধবার সকাল 8টা নাগাদ সেখানকার একটি স্ক্র্যাপ কারখানায় সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে (Cylinder Blast at Scrap Factory in Howrah) ৷ ঘটনায় 6 শ্রমিক গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভরতি ৷ তাঁদের একজনের একটি পা নিচের অংশ বিস্ফোরণে উড়ে গিয়েছে বলে খবর ৷ স্ক্র্যাপ কারখানায় লোহার ট্যাঙ্কার কাটার কাজ করছিলেন শ্রমিকরা ৷ সেই সময় এই বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে ৷ কীভাবে এই বিস্ফোরণ হল ? কারও গাফিলতি ছিল কিনা, সেনিয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে ৷
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, লোহা কাটার জন্য ইন্ডাস্ট্রিয়াল হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন সিলিন্ডার সেখানে মজুত ছিল ৷ সেগুলি দিয়েই কাজ করছিলেন কারখানার শ্রমিকরা ৷ প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, কোনওভাবে আগুনের ফুলকি ছিটকে এই বিস্ফোরণ হয়েছে ৷ বিস্ফোরণের জেরে দুই শ্রমিক দূরে ছিটকে যান ৷ আর 4 জন এই ঘটনায় আহত হয়েছেন ৷ 6 জনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক বলে জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে ৷ বিস্ফোরণের শব্দ শুনে স্থানীয়রা কারখানার ভিতরে যান ৷
তাঁরা ভিতরে গিয়ে দেখেন চারদিক ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে এবং মাটিতে লোকজন ছিটকে পড়ে আছেন ৷ তাঁদের মধ্যে একজনের একটি পা বিস্ফোরণের জেরে উড়ে গিয়েছে ৷ তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ৷ খবর দেওয়া হয় দমকল ও পুলিশে ৷ দমকলের 2টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে ৷ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ৷ বাবাই মণ্ডল নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা অভিযোগ করেছেন, এই কারখানাটি গত কালীপুজো থেকে বন্ধ ছিল ৷ কালীপুজোর দিন সেখানে এমনি একটি বিস্ফোরণ ঘটেছিল ৷ সেই সময় পুলিশের তরফে কারখানাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল ৷ সম্প্রতি এই স্ক্র্যাপ কারখানাটিতে আবারও বিস্ফোরণ হয় ৷
আরও পড়ুন:মহেশতলায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ, মৃত 3
এ দিন পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছাতেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয়রা ৷ মালিপাঁচঘড়া থানার আইসি আশ্বাস দিয়েছেন, পুলিশ তদন্ত করবে ৷ যদি এই ঘটনায় কারখানার মালিকের বিরুদ্ধে গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷ অভিযোগ উঠেছে, কারখানায় পরিত্যক্ত গ্যাস সিলিন্ডার দিয়ে স্ক্র্যাপ কাটার কাজ করা হত ৷ বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, আশেপাশের বাড়ির জানালার কাঁচে চিড় ধরে গিয়েছে ৷ পুলিশের তরফে এও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, জনবসতি এলাকায় যাতে এই কারখানা না থাকে সেই ব্যবস্থা প্রশাসন নেবে ৷