হাওড়া, 18 মে: মাস্ক, স্যানিটাইজ়ার, গ্লাভস, PPE সহ কোনও সুরক্ষা সামগ্রী পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ । তার উপ এক কর্মী কোরোনা আক্রান্ত হওয়ার পর আতঙ্ক আরও বেড়েছে । সেই কারণে আজ শিবপুর শ্মশান ঘাটে তালা লাগিয়ে দিলেন সেখানকার কর্মীরা । শ্মশানের সামনের রাস্তায় বাঁশ-কাঠ এবং খাট দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয় । শ্মশানের চুল্লির প্রবেশপথেও তালা দেওয়া হয়েছে ।
রবিবার সকালে শিবপুর শ্মশান ঘাটের এক কর্মীকে ঘুসুড়ির সত্যবালা আইডি হাসপাতালে ভরতি করা হয় । পাঁচ দিন আগে ওই শ্মশান কর্মীর নমুনা সংগ্রহ করা হয় । এরপর রিপোর্ট এলে জানা যায় ওই তিনি কোরোনা পজ়িটিভ । এরপরই প্রশাসনের পক্ষ থেকে তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হয় । এছাড়াও শ্মশানের পুরোহিত সহ ছয় কর্মী ও কোরোনায় আক্রান্ত ওই ব্যক্তির পরিবারের ন'জনের সোয়াবের নমুনা সংগ্রহ করা হয় । রিপোর্টের ভিত্তিতে তাঁদের আইসোলেশনে পাঠানো হতে পারে ।
সুরক্ষা সামগ্রী নেই, শিবপুর শ্মশানঘাটে তালা কর্মীদের
কর্মীদের অভিযোগ, নিয়মিত কোরোনা আক্রান্তদের মৃতদেহ সৎকার করতে হলেও তাঁদের সুরক্ষার জন্য PPE, মাস্ক, গ্লাভস এবং স্যানিটাইজ়ার দেওয়া হয়নি পৌরনিগমের তরফে । ফলে তালা লাগিয়ে দেওয়া হল শিবপুর শ্মশানঘাটে ।
এর আগে শিবপুর শ্মশান ঘাটে কোরোনায় মৃতদের সৎকারের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল হাওড়া পৈরনিগম । এর প্রেক্ষিতে কোরোনা হাসপাতাল থেকে মৃতদেহ সরাসরি ওই শ্মশান ঘাটে সৎকারের জন্য আনা হত । কর্মীদের অভিযোগ, নিয়মিত কোরোনা আক্রান্তদের মৃতদেহ সৎকার করতে হলেও তাঁদের সুরক্ষার জন্য কোনওরকম PPE, মাস্ক, গ্লাভস এবং স্যানিটাইজ়ার দেওয়া হয়নি পৌরনিগমের তরফে । ফলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাঁদের কাজ করতে হচ্ছে । তাঁদের আরও অভিযোগ, কোরোনায় মৃতদের দেহ সৎকার করতে গিয়েই ওই শ্মশান কর্মী সংক্রমিত হয়েছেন ।
আজ সকালে রেজিস্ট্রারে নির্দেশে ওই শ্মশানের গেটে তালা দেওয়া হয়েছে বলে কর্মীরা দাবি করেছেন । যদিও এ বিষয়ে হাওড়া পৌরনিগমের কমিশনার ধবল জৈন জানান, "নিগমের তরফে শ্মশান বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি । যদি এরকম ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে পৌরনিগমের তরফে অবিলম্বে শ্মশানের দরজা খোলার ব্যবস্থা করা হবে ।" তাঁর দাবি, "শ্মশান কর্মীদের সুরক্ষা সামগ্রী দেওয়ার ব্যাপারে পৌরনিগম সচেতন । মাস্ক, স্যানিটাইজ়ার, গ্লাভস সমস্ত কিছুই দেওয়া হয়েছে শ্মশান কর্মীদের । যে অভিযোগ উঠেছে তা ভিত্তিহীন ।"