পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

By

Published : Nov 18, 2022, 10:42 PM IST

ETV Bharat / state

Santragachi Bridge: সাঁতরাগাছি সেতু বন্ধে সমস্যায় বেসরকারি বাস মালিকরা

19 নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে সাঁতরাগাছি সেতুর রক্ষণাবেক্ষণের কাজ (Santragachi Bridge) ৷ পূর্ব নির্দেশিকা অনুযায়ী আগামিকাল থেকে প্রায় দেড় মাস যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত হবে এই সেতুর ৷ ঘুর পথে চলবে গাড়ি ৷ এর ফলে সমস্যায় বেসরকারি বাস মালিকরা ৷

Santragachi Bridge
ETV Bharat

কলকাতা, 18 নভেম্বর: আগামিকাল থেকে মেরামতের কাজের জন্য বন্ধ থাকবে সাঁতরাগাছি সেতু (Santragachi Bridge)। প্রায় দেড় মাস বন্ধ থাকবে ব্রিজ। যদিও ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে বিকল্প পথের সন্ধান ৷ তবে টানা দেড় মাস সাঁতরাগাছির মত একটি গুরুত্বপূর্ন সেতু বন্ধ থাকলে যেমন সমস্যায় পড়বেন বেসরকারি বাস মালিকরা ঠিক তেমনই ভোগান্তি হবে যাত্রীদের। এমনটাই মনে করছে মালিক পক্ষ।

আজ মাঝরাত থেকেই সেতুর উপর দিয়ে যানবাহন চলাচলের নিয়ন্ত্রণ শুরু হবে। জরুরি মেরামতের কাজের জন্য দিনের একটি নির্দিষ্ট সময় সেতু বন্ধ রাখা হলেও বাকি সময় চলাচল করবে ছোট গাড়ি এবং বাস। তবে ভারী পণ্যবাহী গাড়ি একেবারেই চলাচল করবে না ব্রিজের উপর দিয়ে। এই বিষয় ট্রাফিক বিভাগের তরফে যে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে তাতে উল্লেখ করা হয়েছে ৷ আগামিকাল থেকে 31 ডিসেম্বর অর্থাৎ প্রায় দেড় মাস যানচলাচলে নিয়ন্ত্রণ হবে ৷ ভোর 5টা থেকে রাত 11টা পর্যন্ত সেতুর এক দিক দিয়ে ছোট গাড়ি এবং বাস যাতায়াত করতে পারবে। চালকদের সুবিধার জন্য হাওড়া কর্পোরেশন এবং হাওড়া ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে ম্যাপ প্রকাশ করা হয়ছে ৷ পাশাপাশি পণ্য বাহি গাড়ির ক্ষেত্রে দুই ধরনের স্টিকার দেওয়া হয়েছে। যে পণ্যবাহী গাড়িগুলি বিদ্যাসাগর সেতু, আব্দুল রোড হয়ে ধুলাগড় ও বম্বে রোড-এ আসবে সেগুলিতে লাগাতে হবে হলুদ স্টিকার ‘বি‘। যে পণ্যবাহী গাড়িগুলি বিটি রোড ও নিবেদিতা সেতু হয়ে বর্ধমান দুর্গাপুর ও দিল রোডে পড়বে সেগুলিতে এই সবুজ স্টিকার ‘ডি’ লাগাতে হবে।
আন্দুল রোড, আলমপুর, দ্বিতীয় হুগলি ব্রিজ টালা সেতু, নিবেদিতা সেতু, ডানকুনি হয়ে ২ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে যাতায়াত করবে পণ্যবাহী গাড়ি।

আরও পড়ুন: আগামিকাল থেকে শুরু ব্রিজ মেরামতির কাজ, দেড় মাস বন্ধ সাঁতরাগাছি সেতু

হাওড়া জেলা বাস মিনি বাস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সঞ্জীব পাত্র বলেন, "এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্রিজ । তাই এই ব্রিজটি দেড় মাস বন্ধ থাকলে যাত্রীদের যেমন ভোগান্তি হবে তেমনই সমস্যা পড়তে হবে বাস চালকদের। যদিও সেতু বন্ধ থাকবে রাত 11টা থেকে ভোর 5টা পর্যন্ত। কিন্তু যেহেতু দিনের বাকি সময় সেতুর একদিক দিয়ে যানবাহন চলবে, তাই অনেকটা সময় লেগে যাবে। কারণ আগে এক দিকের গাড়ি অন্যদিকে যাবে তারপর আবার আর একদিক খোলা হবে। স্বাভাবিকভাবেই যাতায়াতের সময় অনেকটাই বেড়ে যাবে। তাই সারাদিনে একটি বাস যতগুলি ট্রিপ করতে পারত তার চেয়ে ট্রিপের সংখ্যা অনেকটাই কমে যাবে। যাত্রীদের ও গন্তব্যে পৌঁছতে অনেক বেশি সময় লেগে যাবে। এর ফলে আমাদের ব্যবসা মার খাবে। অন্যদিকে ছোটবড় সমস্ত গাড়ি চারদিকে রাস্তা যখন এক সঙ্গে ডাইভার্ট করা হবে তখন ওই রাস্তাগুলোতে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা থেকে যাবে। "

পাশপাশি অলবেঙ্গল বাস মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন, "প্রতিটি এই ব্রিজ 80 হাজারের কাছাকাছি যানবাহন যাতায়াত করে। তাই নি:সন্দেহে এটি একটি গুরু্বপূর্ণ ব্রিজ। এক পাশ দিয়ে যেহেতু ছোট গাড়ি এবং বাস আশা যাওয়া করবে তাই ওই লেনে যানজট সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। তবে যদি পরিবহন বিভাগ এবং হাওড়া পুলিশ যৌথ সহায়তায় তেমন সমস্যা হবে না বলেই আশা। তবে হঠাৎ করে যদি কোনও জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত গাড়ি বা অ্যাম্বুলেন্স যাওয়া বা আসার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিতে পারে। "

ABOUT THE AUTHOR

...view details