কলকাতা ও হাওড়া, 3 জানুয়ারি : রাজ্যজুড়ে করোনার বাড়বাড়ন্তে (Covid surge in West Bengal) কঠোর করা হয়েছে বিধিনিষেধ (Covid Restrictions) ৷ সবার আগে কোপ পড়েছে লোকাল ট্রেনের পরিষেবায় ৷ নবান্নের নির্দেশ, ভোর পাঁচটা থেকে সন্ধে সাতটা পর্যন্ত 50 শতাংশ যাত্রী নিয়ে চালাতে হবে লোকাল ট্রেন (Local Train Service with 50 persent Passengers) ৷ আর এখানেই উঠছে বেশ কিছু প্রশ্ন ৷ সরকারি নির্দেশিকায় ক্ষোভ বাড়ছে নিত্যযাত্রীদের মধ্যে ৷ সাধ্য মতো ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেও রাজ্য সরকারি নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করা যে সম্ভব নয়, তা কার্যত স্বীকার করে নিচ্ছেন রেলের আধিকারিকরাও ৷
আরও পড়ুন :COVID 19 Vaccination: 15 বছরের ঊর্ধ্বে আজ থেকেই শুরু ভ্যাকসিনেশন
হাওড়া থেকে শিয়ালদা, সোমবার, সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনে ব্যস্ততা ছিল অন্যান্য দিনের মতোই ৷ নবান্নের নির্দেশ, মহামারী (বিশেষত ওমিক্রন) ঠেকাতে এদিন থেকেই সরকারি ও বেসরকারি অফিসগুলিতে 50 শতাংশ কর্মী দিয়ে কাজ করাতে হবে ৷ তবে কঠোর বিধিনিষেধ জারির প্রথম দিনে তার কোনও প্রভাব রেল স্টেশনগুলিতে অন্তত দেখা গেল না ৷ ফলে শিকেয় উঠল শারীরিক দূরত্বের বিধি (Physical Distance) ৷ এমনকী, যাত্রীদের অধিকাংশের মুখে মাস্ক থাকলেও এদিনও চলন্ত ট্রেন এবং প্ল্য়াটফর্ম মাস্কহীন মুখ নজরে পড়েছে ৷
নিত্যযাত্রীদের বক্তব্য, প্রতিদিন মফঃসল থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ কাজ করতে শহরে আসেন ৷ তাঁদের অধিকাংশই বেসরকারি সংস্থার কর্মী ৷ সেইসব বেসরকারি সংস্থার একটা বড় অংশ আবার ছোটখাটো বিভিন্ন উদ্যোগ ৷ এইসব সংস্থার পক্ষে 50 শতাংশ কর্মীকে দিয়ে কাজ করিয়ে মুনাফা ঘরে তোলা সম্ভব নয় ৷ সেক্ষেত্রে হয় তাদের কর্মী ছাঁটাই করতে হবে, আর তা না হলে কর্মীদের বেতনে কাটছাঁট করতে হবে ৷ দু’টি ক্ষেত্রেই বিপদে পড়বেন স্বল্প বেতনে চাকরি করতে আসা মানুষজন ৷ তাই নিত্যযাত্রীরা মনে করছেন, একমাত্র সরকারি পরিষেবা ও চাকরির ক্ষেত্রেই 50 শতাংশ কর্মী দিয়ে কাজ করিয়ে পূর্ণ বেতন দেওয়া সম্ভব ৷ তাতে সরকারি কর্মীদের পৌষমাস হলেও বাকিদের চরম সর্বনাশ ছাড়া কিছুই নয় ৷ তাই সংক্রমণের ভয় থাকলেও প্রতিদিন অফিস আসতে বাধ্য তাঁরা ৷