হাওড়া, 24 মে : পাটশিল্পের ভবিষ্যত নিয়ে একদিকে যখন রাজ্য রাজনীতি উত্তাল ঠিক তখনই হাওড়া থেকে জুটমিল সরছে শক্তিগড়ে ৷ কারখানা স্থানান্তরের কারণ হিসেবে শ্রমিক সংগঠনের দিশাহীনতা ও অদূরদর্শিতাকেই দায়ী করছেন মালিক। কিন্তু এর ফলে কর্মহীন হতে চলেছে প্রায় পাঁচশো শ্রমিক। কারণ আধুনিকীকরণের জন্যে পর্যাপ্ত জমি পাচ্ছে না হাওড়ার কাজারিয়া জুটমিলের মালিক ৷ ফলে এই জুটমিল স্থানান্তরিত হচ্ছে পূর্ব বর্ধমানে (headquaters of bengal Jute industry has been transfered to bardhaman from howrah)। তবে প্রশ্ন উঠছে হাওড়া জেলাতে বহু কারখানা তৈরির জন্য রাজ্য সরকারের অধিকৃত জমি ব্যাঙ্ক থেকে কেন এই জুটমিলের জন্য জমি বরাদ্দ করতে অপারগ হল ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর ।
শ্রমিকদের দাবিও তাই যদি নিজদের জেলাতেই জমি দিত সরকার তাহলে জুটমিলের সঙ্গে যুক্ত প্রায় পাঁচশো জন শ্রমিকের কর্মসংস্থান বজায় থাকত। আর এখন কর্মসংস্থান হারিয়ে অথৈ জলে পড়েছে এই পাঁচশো শ্রমিক ও তার পরিবার। এমনিতেই জেলার অন্যান্য চটকলগুলো ধুঁকছে নয়তো বা বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
2013 সাল থেকেই অচলাবস্থা তৈরি হচ্ছিল হাওড়া শহরের জুটমিলকে কেন্দ্র করে। দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর এবার কার্যত বিস্ফোরক কর্তৃপক্ষ। মালিকপক্ষের দাবি, বিভিন্ন নেতা ও মন্ত্রীর দফতরে দরজায় গিয়েও কোনও ফল হয়নি। সাহায্য মেলেনি হাওড়ার কোনও নেতৃত্বের কাছ থেকেও। যদিও কর্মীদের বক্তব্য, কারখানা চলে গেলে তাঁরা কার্যত অথৈ জলে পড়বেন। কর্তৃপক্ষের তরফে শক্তিগড়ে এই কারখানার সরিয়ে গিয়ে কাজ করার প্রস্তাব দেওয়া হলেও তা তাঁদের পক্ষে সম্ভবপর হয়নি। তাঁদের কথা অবিলম্বে ভাবা প্রয়োজন।
রাজ্য রাজনীতির দোলাচলের মধ্যেই হাওড়া থেকে কাজারিয়া জুটমিল শক্তিগড়ে সরছে আরও পড়ুন :অবৈধভাবে বালি পাচারে বড়সড় সাফল্য মিনাখাঁ পুলিশের, গ্রেফতার তিন
অন্যদিকে, কারখানা কর্তৃপক্ষের পাশে দাঁড়িয়ে সব দলকে এক ফলায় বিঁধেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা শামীম আহমেদ। মিল চালু রাখার সমাধানসূত্র বের করতে সব দলের শ্রমিক ইউনিয়ন গড়িমসি ও দিশাহীনতায় ভোগার অভিযোগ করেন তিনি। যদিও বিষয়টি নিয়ে রাজ্য মন্ত্রিসভার সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, "আমি একাধিকবার মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। যেহেতু অত্যন্ত ঘিঞ্জি জায়গায় জুটমিলটি ছিল তাই সরাতে হচ্ছে। তবে গোটা বিষয়টিকে শ্রমিকদের স্বার্থের কথা ভেবে করার অবশ্যই দরকার।"