হাওড়া, 16 এপ্রিল : হাসপাতালে আনা হবে কোরোনা আক্রান্ত রোগীকে । এই খবর চাউর হতেই বিক্ষোভ দেখালেন হাওড়ার অর্থোপেডিক হাসপাতালের নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা । তাঁদের বক্তব্য, উপযুক্ত সুরক্ষা ছাড়া তাঁরা পরিষেবা দিতে পারবেন না ।
PPE কিট নেই বলে অভিযোগ, বিক্ষোভ হাওড়া অর্থোপেডিক হাসপাতালে - Howrah
MR বাঙুর হাসপাতাল থেকে কোরোনায় আক্রান্ত এক রেল কর্মীকে হাওড়া অর্থোপেডিক হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে । এই খবর চাউর হতেই বিক্ষোভ দেখালেন সেখানকার নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা ।
MR বাঙুর হাসপাতাল থেকে কোরোনায় আক্রান্ত এক রেল কর্মীকে নাকি হাওড়া অর্থোপেডিক হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় । অর্থোপেডিক হাসপাতালে রেলকর্মীদের জন্য আগে থেকেই মজুত রয়েছে আইসোলেশন ওয়ার্ড । এই খবর চাউর হতেই আতঙ্ক ছড়ায় হাসপাতালের নার্স ও কর্মীদের মধ্যে । আজ দুপুরে কাজ বন্ধ রেখে হাসপাতাল সংলগ্ন ইস্টার্ন রেলওয়ে অফিসার্স ক্লাবের সামনে জড়ো হন প্রায় একশো জন । এরপর হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা । বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, PPE কিট সহ অন্য সুরক্ষা সামগ্রী হাসপাতালে মজুত নেই । এছাড়া কোরোনা রোগীর চিকিৎসা করার মতো উপযুক্ত প্রশিক্ষণও নেই কর্মীদের । তাই কোরোনা পজ়িটিভ রোগী এলে তাঁর চিকিৎসা করতে গিয়ে হাসপাতালের কর্মীদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে । পরে পূর্ব রেলের হাওড়া ডিভিশনের DRM ঈশাক খানের আশ্বাসে কাজে যোগ দেন তাঁরা ।
ওই ব্যক্তি বিহারের বাসিন্দা । কর্মসূত্রে থাকেন হাওড়ায় । এই প্রসঙ্গে পূর্ব রেলের হাওড়া ডিভিশনের DRM ঈশাক খান । তিনি ETV ভারতকে জানান, "কোরোনা সন্দেহে এক রেলকর্মীকে প্রথমে MR বাঙুর হাসপাতালে ভরতি করা হয় । সেখানেই তাঁর লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল । কিন্তু সেই রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে । তাই কোয়ারান্টাইন করার জন্য তাঁকে অর্থোপেডিক হাসপাতালে আনা হচ্ছিল ।" পাশাপাশি পর্যাপ্ত কিট না থাকার অভিযোগ নিয়ে তিনি বলেন, "এই হাসপাতালে 300 PPE কিট ও 500 মাস্ক রয়েছে। কাজেই কর্মীদের চিন্তার কোনও কারণই নেই ।"