শিবপুর, 30 জানুয়ারি : মেয়ের মৃত্যুর পর তাঁর দেহ আগলে বসে রইলেন মা (Mother Sitting With Daughters Dead Body) ৷ ঘটনার কথা জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হাওড়ার শিবপুরের কাসুন্দিয়াতে ৷
তিন বছর আগে স্বামীর মৃত্যুর পর মেয়ে দীপ্তি মল্লিকের সঙ্গে থাকতেন মা শ্যামলী মল্লিক ৷ দীর্ঘদিন ধরেই এই এলাকায় বসবাস করতেন তাঁরা ৷ তবে গৃহকর্তার মৃত্যুর পর থেকে বাইরে কারওর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন না মা ও মেয়ে ৷ মানসিক অসুখে ভুগছিলেন দু'জনেই ৷ বাড়িতে কোনও রোজগেরে লোক না থাকায় বৃদ্ধার ভাইপো সপ্তাহে একদিন এসে খাবার-সহ যাবতীয় জিনিসপত্র কিনে দিয়ে যেতেন ৷ প্রতি সপ্তাহে এলেও, কাজের জন্য গত সপ্তাহে আসতে পারেননি বৃদ্ধার ভাইপো ৷
তারপর রবিবার খাবার দিতে এসে পচা গন্ধ পান ৷ এরপর বাড়ির ভিতরে ঢুকতেই দেখেন পিসতুতো বোন দীপ্তি মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন ৷ আর ওঁর মা তা আগলে বসে রয়েছেন ৷
আরও পড়ুন :রবিনসন স্ট্রিট কাণ্ডের ছায়া সরশুনায়, বাবার দেহ আগলে মেয়ে
খবর পেয়ে শিবপুর থানার পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ও স্থানীয় বাসিন্দা ও ক্লাবের ছেলেরা মৃতদেহ সৎকারের ব্যবস্থা করেন ৷ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘ কয়েকদিন ধরেই মেয়ে দীপ্তি মল্লিকের কোনও সাড়া শব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না । রবিবার এক আত্মীয় খাবার দিতে গিয়ে ঘর থেকে পচা গন্ধ পেয়ে ঢুকে দেখেন মেয়ে মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে । যদিও বৃদ্ধা মা শ্যামলী দেবী নিজের মেয়ের মৃতদেহের সামনে বসেই দাবি করেন, তিনি জানেন না তাঁর মেয়ে কোথায় চলে গিয়েছে ।
এই বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা রুবি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "এই পরিবার দীর্ঘদিন ধরে এখানে থাকেন । এই এলাকার অধিকাংশ বাড়ি এই মল্লিকদেরই । বাবা তিন বছর আগে মারা গিয়েছেন । দীর্ঘদিন ধরে মানসিক অসুখে ভুগছিলেন মা ও মেয়ে । কারওর সঙ্গেই মেলামেশা করতেন না ৷ মানসিক অবসাদের জেরেই এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে ৷"
আরও পড়ুন :মায়ের মৃতদেহ আগলে মেয়ে, রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া ট্যাংরায়