হাওড়া, 21 জানুয়ারি : দীর্ঘ কয়েক বছরের অপেক্ষার পর ফের একবার পরিযায়ী পাখিদের ঢল সাঁতরাগাছির ঝিলে (Migratory Birds in Santragachhi Lake) ৷ সেই সঙ্গে ভোর থেকে বিকেল পর্যন্ত পাখিদের কলতানে মুখরিত সাঁতরাগাছি ঝিল সংলগ্ন এলাকা ৷ ঝাঁকে ঝাঁকে পাখিরা আকাশে উড়ে বেড়াচ্ছে ৷ ঝিলের জলে ভাসছে হুইসলিং ডাক, গার্ডওয়াল, বোন চুইং জাখানা ও প্রিন্টেলের মতো বিদেশি অতিথিরা ৷ পরিবেশ আদালতের নির্দেশ মতো বায়ো ডাইভার্সিটির সাহায্যে সাঁতরাগাছি ঝিলের পরিবেশগত মানোন্নয়নে ফলে শীতকালে ফের পরিযায়ী পাখিদের আনাগোনা শুরু হয়েছে ৷ আর সেই সঙ্গে পরিযায়ী পাখিদের লেন্সবন্দি করতে ক্যামেরা হাতে সাঁতরাগাছির ঝিলের পারে ভিড় করেছেন ফটোগ্রাফার এবং পাখিপ্রেমীরা ৷
এবারে সাঁতরাগাছি ঝিলে পরিযায়ী পাখির সংখ্যা অতীতের সব রেকর্ডকে ছাপিয়ে গিয়েছে ৷ গত 7 বছরের তুলনায় এবার পাখির সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ৷ অতীতের নথি তাই বলছে ৷ আগামী কয়েকদিনে পরিযায়ী পাখির সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে ৷ এই মুহূর্তে সাঁতরাগাছি ঝিলে উত্তর-পশ্চিমের দেশগুলি থেকে আসা গার্ডওয়াল, বোন চুইং জাখানা, হুইসলিং ডাক ও প্রিন্টেলের মতো পরিযায়ী পাখি রয়েছে ৷ সবচেয়ে বেশি রয়েছে হুইসেল ডাক ৷
প্রায় 7 বছর পর সাঁতরাগাছির ঝিলে এত বিশাল সংখ্যায় পরিযায়ী পাখির আগমন ঘটেছে ৷ আর এর পিছনে অন্যতম কারণ হিসেবে জানা গিয়েছে, ঝিলের পরিবেশগত মানোন্নয়ন ৷ হাওড়া পৌরনিগমের তরফে জানানো হয়েছে, পরিবেশ আদালতের নির্দেশ মেনে বায়ো ডাউভার্সিটি মাধ্যমে ঝিলের দূষণ কম করা হয়েছে ৷ ঝিলের জলে কী পরিমাণ দূষণ রয়েছে, তা প্রতি 2 মাস অন্তর পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে ৷ আর সেই কাজ করছে ভারতীয় রেল ৷ ভারত ফাউন্ডেশন নামে এক সংগঠনের সদস্য জানান, গত এক বছর ধরে ঝিলের জলের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে ৷ সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, ঝিল সংস্কার এবং জলের দূষণ কমানোর কাজ চলছে (Pollution in Santragachhi Lake) ৷
আরও পড়ুন : করোনা আবহে পর্যটক শূন্য কুলিকে কমছে দূষণ; বাড়ছে পরিযায়ী পাখি