পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

নভেম্বরের শুরুতেও সাঁতরাগাছির ঝিলে দেখা নেই পরিযায়ী পাখিদের

পরিযায়ী পাখিদের আগমনস্থল হিসেবেই পরিচিত সাঁতরাগাছি ঝিল । প্রতিবছর শীতকালে পরিযায়ী পাখিরা এখানে এসে ভিড় জমায় । কিন্তু এ বছর নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ কেটে গেলেও দেখা মেলেনি পরিযায়ী পাখির ।

By

Published : Nov 9, 2019, 11:18 AM IST

Updated : Nov 10, 2019, 8:55 PM IST

সাঁতরাগাছি ঝিল

সাঁতরাগাছি, 9 নভেম্বর : একদিকে বুলবুলের শক্তি বাড়ছে ৷ অন্যদিকে কচুরিপানায় ভরে যাচ্ছে ঝিল । যার ফলে পিছিয়ে যেতে পারে পরিযায়ী পাখিদের আসার সময় । আর তাতেই মনভার সাঁতরাগাছির পাখিপ্রেমীদের ।

পরিযায়ী পাখিদের আগমনস্থল হিসেবেই পরিচিত সাঁতরাগাছি ঝিল । প্রতিবছর শীতকালে পরিযায়ী পাখিরা এখানে এসে ভিড় জমায় । কিন্তু এ বছর নভেম্বর মাস শুরু হয়ে গেলেও দেখা মেলেনি পরিযায়ী পাখির । স্থানীয় বাসিন্দা থেকে পরিবেশবিদদের ব্যাখ্যা বুলবুল আর ঝিলে জমে থাকা কচুরিপানাই এর আসল কারণ ।

'অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়'-এ পরিণত হয়েছে বুলবুল । ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জেলায় শুরু হয়েছে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত । তালিকায় রয়েছে হাওড়া । যার জেরে হাওয়ার স্রোত এখন দক্ষিণ থেকে উত্তরে । ফলে পরিযায়ী পাখিরা এ রাজ্যে আসতে দেরি করতে পারে বলেই মনে করছেন পরিবেশবিদরা । পাশাপাশি এই গভীর নিম্নচাপের কারণে বেশি বৃষ্টি হলে জলস্তর বেড়ে কচুরিপানার দ্বীপগুলি জলে ডুবে যেতে পারে । শুধু তাই নয়, বৃষ্টির কারণে ঝিলের পাড়ের ও মাঝের দ্বীপগুলিতে থাকা কচুরিপানার বন্ধন আলগা হয়ে যেতে পারে । আর তাতে ফের কচুরিপানা ছড়িয়ে পড়বে ঝিলের সর্বত্র । তাই বসার জায়গা না পেয়ে পরিযায়ী পাখিরা এলেও বেশিদিন থাকবে না ।

নভেম্বরের শুরুতেও কেন আসছে না পরিযায়ী পাখিরা ? ভিডিয়োয় শুনুন

পরিযায়ী পাখিদের দেরিতে আসার কারণ হিসেবে অনেকে হাওড়া পৌরনিগমের অবহেলাকেও দায়ি করছে । নিয়ম অনুযায়ী পরিযায়ী পাখিদের সঠিক ঠিকানা তৈরি করতে গেলে 33 একর এই ঝিলের 40 শতাংশ এলাকায় কচুরিপানা থাকা দরকারি । তার মধ্যে সেই কচুরিপানার 30 শতাংশ ঝিলের দুই পাড়ে 15 শতাংশ করে বেঁধে রাখতে হয় । আর বাকি 10 শতাংশ কচুরিপানা দিয়ে ছোটো ছোটো দ্বীপের মতো বানিয়ে রাখা হয় । এই দ্বীপগুলিতে পরিযায়ী পাখিরা বসতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে । কিন্তু অবহেলার কারণে এখনও পরিষ্কার করা হয়নি সাঁতরাগাছি ঝিল । তাই নভেম্বরেও কচুরিপানায় ভরতি এই ঝিল ।

দক্ষিণ-পূর্ব রেলের অধীন এলাকায় থাকলেও রাজ্যের গ্রিন ট্রাইবুনালের নির্দেশ অনুযায়ী সাঁতরাগাছি ঝিল সংরক্ষণের দায়িত্ব রাজ্যের হাতে । ঝিল পরিষ্কার ও সেই ময়লা এলাকা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব হাওড়া পৌরনিগমের হাতে । কিন্তু বায়ো ডাইভারসিটি বোর্ডের তত্ত্বাবধানে ঝিল পরিষ্কারের কাজ অনেকটাই দেরিতে শুরু হয়েছে । আর তাই গোটা ঝিল ভরে গেছে প্রায় আড়াই ফুট উচ্চতার কচুরিপানায় । এ বিষয়ে হাওড়া পৌরনিগমের কমিশনার বিজিন কৃষ্ণ ETV ভারতকে বলেন, পৌরনিগমের কাজ পরিষ্কারের জন্য লোক সরবরাহ করা ও ময়লাগুলো ওখান থেকে তুলে নিয়ে আসা । বায়ো ডাইভারসিটি বোর্ডের তত্ত্বাবধানে পৌরনিগম ইতিমধ্যেই তার কাজ শুরু করেছে । পাশাপাশি কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী ও স্থানীয় কিছু মানুষকেও এই কাজের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে ।

Last Updated : Nov 10, 2019, 8:55 PM IST

For All Latest Updates

ABOUT THE AUTHOR

...view details