হাওড়া, 7 এপ্রিল: রাজ্যে সমস্ত পৌরসভা ও নগর নিগমের নির্বাচন হয়ে গেলেও এখনও আইনি জটিলতায় হয়নি হাওড়া পৌরনিগম ও বালি পৌরসভার নির্বাচন। ফলে নাগরিক পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন শহরবাসী (Liluah facing stagnant water problem)। বর্ষা ঘুরে ফের রাজ্যে বর্ষা চলে আসার সময় বেশি দূর নয়, তাও লিলুয়ার 66 নম্বর ওয়ার্ডের রামলাল ঘোষ লেন এলাকায় এখনও জমে রয়েছে জল। আর সেই নোংরা পচা জলে জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে এলাকার সাধারণ মানুষের।
পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে খটখটে রোদ্দুরের মধ্যেও লিলুয়ার 66 নম্বর ওয়ার্ডের রামলাল ঘোষ লেন, দেবী পাড়া ও কুমোর পাড়াতে এখন জল থইথই। এলাকার বিস্তীর্ণ অঞ্চল এখনও ডুবে রয়েছে ঘন কালো পচা জলে। এই পচা জল পেরিয়েই যাতায়াত করছেন এলাকার মানুষ। এই পরিস্থিতি বিগত তিন চার বছর ধরে চলছে বলেই অভিযোগ এলাকাবাসীদের।
স্থানীয়দের অভিযোগ কার্যত স্বীকার করে হাওড়া পৌর প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য় রিয়াজ আহমেদ জানান, এটা সত্যি ওখানের বাসিন্দারা খুবই খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে বসবাস করছেন। তিনি সম্প্রতি বালি পৌরসভার মুখ্য প্রশাসকের অনুরোধে ওই এলাকা পরিদর্শন করেছিলেন। তিনিও এই শুকনো আবহাওয়াতে এভাবে জল জমা দেখে আশ্চর্য হয়েছিলেন বলেই দাবি করেন। পাশাপাশি চার বছর নির্বাচন না হওয়ার কারণে পরিকাঠামোগত সুবিধা থেকে বালি পৌরসভা বঞ্চিত হওয়ার জন্যই এই দুর্ভোগ বলে অভিযোগ। তিনি আরও জানান, ইতিমধ্যে কেএমডিএ ওই এলাকার বড় নিকাশি নালা ঠিক করার কাজ শুরু করবে। এছাড়াও সেচ দফতর থেকে পঞ্চায়েত এলাকাতে এই জমা জল বের করার যে নিকাশি ব্যবস্থা রয়েছে তা পরিষ্কার করার কাজ ইতিমধ্যে শুরু করেছে। তিনি আশা করেন আগামী 7 দিনের পর থেকে এই পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
যদিও স্থানীয় বাসিন্দা অশ্বিন ঠক্কর অভিযোগ করে জানান, দীর্ঘ আড়াই-তিন বছর ধরে এই নোংরা জলেই বসবাস করছেন তাঁরা। প্রাক্তন পৌর প্রতিনিধি-সহ সকলকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। জমা জল এতটাই দূষিত হয়ে উঠেছে যে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। রাত্রে মশার উপদ্রপে ঘুমানো যায় না। এই জমা জলের কারণে তাঁর দোকানে কেনাকাটা করতে খরিদ্দার আসছে না। এই 72 বছর বয়সে কীভাবে বেঁচে থাকবেন সেটাই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে তাঁর কাছে।